দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলা পুলিশ বিভিন্ন মিথ্যা প্রেম ও প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অপহরণ ও নিখোঁজের ঘটনা প্রতিরোধে সর্বাত্মকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইতিপূর্বে দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন মিথ্যা প্রেম ও প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নারীসহ অন্যান্য যারা অপহরণ ও নিখোঁজ হয়েছে তা দিনাজপুর জেলা পুলিশ বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে ভিকটিম উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
ভিকটিম লিপা খাতুন (১৯) জনৈক রাশেদুল ইসলাম (২২), পিতা- শাহিদুল ইসলাম, সাং- চাকদহ, থানা- শ্রীপুর, জেলা- মাগুরার সাথে মোবাইল ফোনে ভুল নম্বর ডায়ালের মাধ্যমে কথোপকথন হলে আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এই প্রেমের ফাঁদে পরে ভিকটিম গত ০৩/০৫/২০২৪খ্রিঃ হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা (গুচ্ছ) দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাহারোল নিজ বাসা থেকে সকাল ৮ ঘটিকার সময় বের হয়ে আসে। আর এদিকে আসামী পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দিনাজপুরের উল্লিখিত পরীক্ষার সেন্টার থেকে বাসযোগে প্রথমে সাভার, ঢাকা, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও পরবর্তীতে ফরিদপুরে সদরে বাসা ভাড়া করে অবস্থান করে।
এর প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাবুল হোসেন (৫০) কাহারোল থানা, দিনাজপুরে একটি এজাহার দায়ের করলে দিনাজপুর কাহারোল থানার মামলা নং-০৬, তারিখ- ১১/০৫/২৪ইং, ধারা-৭/৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী- ২০২০) রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পরপরই কাহারোল থানা পুলিশের ঘটনায় জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করতে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব শাহ ইফতেখার আহমেদ, পিপিএম (বার) মহোদয়ের সরাসরি নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মহোদয়ের সমন্বিত পরিকল্পনায় দিনাজপুর সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই (নিঃ) বিশ্বজিৎ দাস, এসআই (নিঃ) মোঃ আল মামুন, কাহারোল থানার উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) মোঃ মমিনুর রহমানসহ উক্ত থানার সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়।
প্রথমে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীর মোবাইল নম্বর বের করা হয়। এরপর আসামী ও ভিকটিমের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। আসামী অতিরিক্ত ধূর্ত হওয়ায় নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন সিম কার্ড ব্যবহার করে সেই সাথে প্রতিনিয়ত ছোট বাটন সেট কয়েক ঘণ্টা বা একদিনের মতো ব্যবহার করে তা আবার বিক্রি করে দেয়। যার কারণে ভিকটিম ও আসামী কে উদ্ধার করেতে পুলিশকে খুব বেগ পেতে হয়। দিনাজপুর জেলা পুলিশ তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে উক্ত ভিকটিম ও আসামীকে সফল অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার ও গ্রেফতার করে।
আসামী ১। রাশেদুল ইসলাম (২২), পিতা- শাহিদুল ইসলাম, পেশা- দিনমজুর, সাং- চাকদহ, থানা- শ্রীপুর, জেলা- মাগুরাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।