বদরুদ্দোজা প্রধান পঞ্চগড় প্রতিনিধি বাংলাদেশে এই যে সিস্টেমগুলো বিগত ১৬ বছরে একটার পর একটা নষ্ট করা হয়েছে, বাধ্য করে প্রত্যাকটি মানুষ কে বানানো হয়েছিলো হুকুমের দাস , তোষামোদী, তেলবাজির দাস করা হয়েছে। এর দায় এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে নিতে হবে। এই পঞ্চগড় একটি সীমান্ত এলাকা। পঞ্চগড়ের মানুষ সীমান্তের কাছাকাছি গেলে বিএসএফের গুলিতে মারা যায় । পঞ্চগড়ের মানুষ কি বিএসএফের গুলিতে মরার জন্য জন্মেছিল ? সীমান্তে খুনিদের বিচার ঔ ফ্যাসিস্ট হাসিনা এতদিনেও করতে পারেনি। আমি পঞ্চগড়ের মানুষকে বলতে চাই বিগত দিনে যারা এই খুনি হাসিনা সহ এসব খুনের বিচার করতে পারে নি , যারা ভারতের সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ গড়েছিল তাদের বিচার করতে হবে। যারা সিন্ডিকেট করে তরুন প্রজন্মকে মাদক সিন্ডিকেটের মধ্যে ফেলে দিছে তাদের বিচার্ করতে হবে। পঞ্চগড়ে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাত এবং দুর্নীতি চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিকের মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সমন্বয়ক সার্জিজ আলম । তিনি বলেন সন্তানদের শুধুমাত্র ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে বলবেন না। তাদেরকে রাজনীতি সচেতন করে গড়ে তুলুন। রাজনীতি করতে বলুন। দিন শেষে রাজনীতিবীদরাই সংসদে দেশ পরিবর্তনের আইন প্রণয়ন করেন। গত ৫০ বছর ধরে উত্তর বঙ্গ একটি অবহেলিত জনপদ। এবার এই জনপদের উন্নয়নের সময় এসেছে। অন্যদিকে সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন উত্তরবঙ্গে কোন আঞ্চলিক পরাশক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা। এটা ২০২৪ সাল । এই সালেও একটি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। উত্তর বঙ্গ হবে একটি উন্নত এলাকা। শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য ছাত্র জনতা রক্ত দেয়নি। আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের বদলা নেয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদেরকে বিতর্কিত করতে ফ্যাসিবাদী শক্তি চারদিকে কাজ করছে। বিপ্লবি শক্তি কোন ষড়যন্ত্রে মাথা নোয়াবেনা। যারা আমাদেরকে বিতর্কিত করতে চাইবে তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে। পঞ্চগড়ে ভারতীয় আধিপত্য চলবেনা। ভারতীয় আধিপত্যের জন্য পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। চা পাতার দাম কমে গেছে। শুক্রবার বিকেলে মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন এসময় সমন্বয়ক রকিব মাসুদ, আবু সাঈদ লিয়ন, সহ সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্য মিশু আলী সুহাস, জহির রায়হান প্রমুখ ।