জাহাঙ্গীর খাঁন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৃষ্টির অঁজুহাতে কুষ্টিয়ার সকল সবজির বাজার এখন অস্থির। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ টাকা কেজির মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। আর ৭০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়াও অন্যান্য সবজিতেও প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সমান আয়ে বাড়তি দামে সবজিসহ নিত্যপণ্য কিনতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে নিম্ন ও মাধ্যম আয়ের মানুষের। অপরদিকে আমদানি কম থাকায় কেজি প্রতি দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা দাম বেড়েছে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের। কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগীতেও। গত রবিবার ৬ তারিখ সকালে কুষ্টিয়া শহরের মিউনিসিপালিটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এতে অখুশি ক্রেতা ও বিক্রেতা। ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটারিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দামে সবজিসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করছেন। কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ায় নাভিঃশ্বাস উঠে গেছে ভোক্তা মনে। তারা দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান। আর বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহ জুড়েই ঝুরছে বৃষ্টি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিতে ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমদানি কম থাকায় সবধরনের সবজিরই দাম বেড়েছে। শীতকালীন সবজি বাজারে না উঠা পর্যন্ত এমন দাম চলমান থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়, ৭০ টাকার বেগুন ১২০ টাকা, ৭০ টাকার উস্তে ১০০ টাকা, ১০০ টাকার ফুলকপি ১২০ টাকা, ৪০ টাকার ঝিঙে ৬০ টাকা, ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ১০ টাকার পেঁপে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকার দুই আটির শাক বিক্রি ২৫ টাকা, দাম বেড়ে প্রতি পিচ ৩০ টাকার লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, পেয়াজ, রসুন, আদা, কচুর দাম। এছাড়াও ৪০ থেকে ৬০ টাকা দাম বেড়ে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। ১৫০ টাকার ব্রয়লার ১৮০ টাকা এবং ২২০ টাকার সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে– ২৫০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়। এ ষিয়ে কুষ্টিয়ার সচেতন মহল সঠিকভাবে বাজার মনিটারিংয়ের দাবি জানান। এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথেকথা হলে তিনি বলেন, ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর, বাজার মনিটারিং কমিটির সদস্যরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন। কোনো অনিয়ম পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানাও করা হচ্ছে। তাঁর ভাষ্য, দামে কোনো কারসাজি করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।