তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার ব্যবসায়ী ও সচেতন জনগণের পক্ষে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকেই কিছু লোক বিভিন্নভাবে এ নদীড়ন্ত বালুমহালের ব্যবসায়ী ও সুবিধাভোগীদের নিকট হতে বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায় করতো। ৫ই আগস্ট পরবর্তীতে পট পরিবর্তনের পর জেলা প্রশাসক উক্ত বালু মহালের ইজারাদারদের ইজারা বাবদ প্রতি ফুট বালুতে ৯ (নয়) টাকা করে আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছুদিন এই আদেশ পালন করার পর বালু মহালের ইজারাদার পুনরায় সেই পুরোনো রূপে ফিরে গিয়ে নিজ মর্জিমত ইজারা নির্ধারণ করেছেন। বর্তমানে ইজারাদার প্রতি ফুট বালুতে ১১ (এগার) টাকা নিচ্ছেন।
ইজারাদার কর্তৃক যেসব অপকর্ম ঘটছে তার বর্ণনা দিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যাদুকাটা নদীর চান মিয়ার ঘাট হতে প্রতি ফুট বালুতে অবৈধভাবে আরও অতিরিক্ত ৮ (আট) টাকা করে উত্তোলন করছেন ইজারাদার মোঃ রতন মিয়া ও তার সহযোগী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে ইকরাম, তোতা মিয়ার ছেলে ডালিম, জিন্নাহ, তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের মৃত মাওলানা রমজান আলীর পুত্র মুহুরী মোঃ ফারুক মিয়া ও সাঙ্গপাঙ্গ। এদিকে ইজারাদার অবৈধভাবে পরিবেশ বিধ্বংসী শেভ মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন করছেন এবং প্রতি শেভ মেশিন হতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার করে টাকা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতি রাতেই যাদুকাটা নদীর বালু মহালের পাড় কাটা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়। প্রতি রাতেই ইজারাদার ও তার লোকজনের এসব কর্মকান্ডে নিজেরা নিজেরা ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে মারামারি করে নদী পাড় এলাকার মানুষের বসবাসের পরিবেশ নষ্ট করছে। এদের মধ্যে মাদকাসক্ত, চোরাচালানি ও জুয়ারী প্রকৃতির লোক ভরপুর। দিনে ও রাতে বালু মহালের নীতি বহির্ভূত কর্মকান্ড ঘটানোর পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইতেও জড়াচ্ছে ইজারাদারের লোকেরা।
স্মারকলিপিতে যাদুকাটা নদীতে ইজারাদার কর্তৃক অতিরিক্ত টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা সহ এসব পরিবেশ বিনষ্টকারী কর্মকান্ড বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও উল্লেখ করেন তারা। এদিকে ব্যবস্থা গ্রহণ ও কার্যার্থে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, তাহিরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপি প্রদান করা হয়।