মোঃ সাজ উদ্দিন সাজু, সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেখানে নিজেই অসুস্থ সেখানে আগত সেবা প্রত্যাশীরা চিকিৎসা বঞ্চিত। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই?
সরেজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, নতুন ভবনের নিচ তলায় বিভিন্ন চিকিৎকরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য কোভিড-১৯ এর জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা প্রদান করা হচ্ছে। যেখানে টিকা প্রদান করা হচ্ছে সেখানের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন? অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ চলছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম।
জরুরী প্রয়োজনে রোগী কিংবা রোগীর স্বজনরা এমনকি টিকা গ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়াশ ব্লক যাওয়ার কোনো উপায় নেই। রোগীর স্বজনদের অনুরোধ উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির এমন অবস্থাই বলে দিচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্যসেবার মান কি ? জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে দীর্ঘ দিন হতে সেবা প্রত্যাশীরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। অপরদিকে ডাক্তারদের ভিজিট করতে সময়ে অসময়ে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ এবং ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের দাবী যেখানে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবেশ নোংরা, সেখানে রোগীর চিকিৎসা সেবা কি করে হবে?
জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ সালাহউদ্দিন বলেন আমি চলতি মাসের ২ জানুয়ারি এই স্টেশনে যোগদান করেছি। বর্তমানে প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় রয়েছি। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।
জৈন্তাপুর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মমি দাস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি নতুন বিল্ডিংয়ে দৃশ্য। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের লোকজন দেখাশোনা করেন। মেডিকেলটিতে জনবল সংকট ০২ জন ক্লিনার রয়েছে একজন রাতে একজন দিনে ডিউটি করছে। তিনি স্বীকার করেন ময়লাগুলো দীর্ঘ দিন হতে জমেছে। আগামী দিন এগুলো পরিস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক জানান, বিষয়টি দুঃখজনক, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, অনেকেই বিভিন্ন সময় আমাকে বিষয়টি জানান। কয়েকবার পরিদর্শন করে তাদেরকে সর্তক করে দিয়েছি। তারপরও এই অবস্থা সত্যিই দুঃখজনক। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলছি। তিনি আরও বলেন আপনারা নিয়মিত বিষয়গুলো আমাদের দৃষ্টি আর্কষণ করবেন। সাধারণ রোগীরা ভোগান্তির স্বীকার হলেও তারা কিছু বলতে চায় না।