কুড়িগ্রামে বাপ্পি হত্যা মামলার আসামি বড় ভাই, আটক হলেন ছোট ভাই, তারপর?
সাইফুর রহমান শামীম,, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম শহরের জলিল বিড়ি কারখানার শ্রমিক মাঈদুল ইসলাম বাপ্পি (২০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত অপর বিড়ি শ্রমিক খোকন ইসলাম (২৭) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার (১২ জুন) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলি তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (১০ জুন) খোকনের ছোট ভাই রিপনের কাছ থেকে খোকনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার ছোট ভাইকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ খবর অভিযুক্ত খোকনের কাছে পৌঁছালে রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ আরও জানায়, এ মামলায় একমাত্র আসামি খোকন ইসলাম। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তাকে গ্রেফতারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছিল। মূলত ছোট ভাইয়ের আটকের খবরে আত্মগোপনে থাকা খোকন মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। ফলে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন।
এর আগে গত ৩০ মে বিকালে জেলা শহরের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় জলিল বিড়ি কারখানায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক বাপ্পিকে হত্যার অভিযোগ উঠে আরেক বিড়ি শ্রমিক খোকন ইসলামের বিরুদ্ধে। নিহত বাপ্পি কুড়িগ্রাম পৌরসভার মাটিকাটা মোড় এলাকার খাদেম আলীর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
অভিযুক্ত খোকন ইসলাম একই এলাকার মৃত বোবা নজিরের ছেলে। তারা দুই জনই বিড়ি কারখানায় কাজ করতেন। ঘটনার পর ফ্যাক্টরি থেকে পালিয়ে যান খোকন। পরে এ ঘটনায় নিহত বাপ্পির মা বাদী হয়ে খোকনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।