মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলার উপর দিয়েও কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। আর এই চলমান তাপদাহে বীজতলা নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষক। এছাড়াও বৃষ্টি ও পর্যাপ্ত সেচের পানির অভাবে ধানের বীজতলা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। অন্যদিকে সময় মত ধানের বীজ বপন করতে না পরলে ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই! ঠাকুরগাঁও
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তথ্য মতে, চলতি মৌসুম রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লক্ষ ৩৭হাজার ১শত হেক্টর । যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪লক্ষ ৭৬ হাজার ৩শত ৩০ মে.টন। এ পযর্ন্ত বীজতলা অর্জিত হয়েছে ৭৮ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষক ইতিমধ্যেই ধানের বীজতলা তৈরির জন্য মাঠে নেমেছেন। সময় মতো বৃষ্টি আর পর্যাপ্ত পানির অভাবে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউবা নতুন বীজতলা তৈরী করছেন। আবার কেউবা বীজতলায় সেচ দিচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কৃষক করিম ও নাসিরুল জানায়, আমাদের এলাকায় উঁচু নিচু দুই স্তরের জমি রয়েছে। তাই নিচু জমির জন্য একটু আগেই ধানের বীজ বপন করতে হয়। কিন্তু তিব্র রৌদ্রের তাপে বীজতলা নষ্টের পথে। রাজাগাঁও ইউনিয়নের কৃষক তাপস ও কৃষ্ণ বলেন, বৃষ্টির পানির অভাবে মাঠে ধানের বীজ বপন করতে পরছিনা। অনেকই সেচ দিয়ে বীজ বপন করছে কিন্তু সে বীজ রৌদ্রের তাপে জ্বলে যাচ্ছে। এদিকে সময় মত বীজ বপন করতে না পারলে এবং খরার প্রভাবে ধানের ভাল ফলন না হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির জানান, আমরা চলমান তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ার পর বীজতলায় বীজ ফেলা এবং যে সকল জমিতে বীজ বপন করা হয়েছে সেই বীজতলায় সেচ দিয়ে জমির আদ্রতা ধরে রাখা পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষক ভাইদের জন্য জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ যোগ্য ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, ব্রি ধান- ৩৪, ব্রি ধান-৯০,ব্রি ধান-৯৩ ও বিনা ধান-১৭ ধানের জাত গুলো চাষাবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। যেহেতু বীজ বপনের সময় এখনো রয়েছে, সেক্ষেত্রে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোন সমস্যা হবে না বলে আশা করা যাচ্ছে।