আরিফুজ্জামান চাকলাদারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় গরুর খামারে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার ( ২৭ ডিসেম্বর) রাত ২.৫০ মিনিটের সময় উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চাহাটি কটুরাকান্দি মাদ্রাসা মোড়ে সততা এগ্রো ফার্মে ডাকাতির সময় এলাকাবাসীর বাঁধার মূখে পিছু হটে স্হান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
জানা যায়,সততা এগ্রো ফার্মের সামনে একটি সাদা রং এর মাহিন্দ্র পিক আপ এসে দাঁড়ায়। গাড়ির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় পাশের মুদি দোকনের মালিক টিটল মল্লিক । ঘুম থেকে জেগে তার দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করতেই তার চোখে পড়ে খামারের সামনে গাড়ি পাশে লোকজন দাঁড়ানো দেখে ফোন করেন টিটল মল্লিক এমনটাই জানান খামারির শেয়ার মালিকের ছোট ভাই মেহেদী, খামার মালিক তরিকুল ইসলাম ফোন কল পেয়ে গ্রাম মসজিদ মাইকে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে খামারের দিকে যায়, এবং খামারে ভিতরে ঘুমন্ত মেহেদী হাসানকে ফোন করে সজাগ থাকতে বলে, তারা না পৌছানো পর্যন্ত যেন গেট না খুলে এ পরামর্শ দেন এবং আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে মোবাইল ফোনে ডাকাতির বিষয়টি অবগত করেন।গ্রামের লোকজন খামারের দিকে যেতেই চারিদিকের লোকজনের শোরচিৎকার শুনে ডাকাত দল তাদের গাড়িতে উঠে পালাতে চেষ্টা করে। গ্রামবাসি প্রতিরোধ করতে গেলে ডাকাতের গাড়ি জনতাকে চাপাদিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। কয়েকবার চেষ্টা করে ডাকাতদের কে ঠেকাতে ব্যর্থ হয় গ্রামবাসী। ডাকাত ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় গাড়িতে ধাক্কা লেগে খামারির তত্ত্বাবধানে থাকা তুরজাউন মিয়া গুরুতর আহত হয়। কিছু সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছান আলফাডাঙ্গা থানার এস আই সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহল টিম,পুলিশ এসে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখেন।
প্রসঙ্গত উপজেলায় গত ২ মাসে ৮টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর রাতে ফলিয়ার হাফিজুর এর বাড়িতে ডাকাতির কালে ১৫ লক্ষ টাকার নগদ ও স্বর্ণলংকার লুট করে। ৫ ডিসেম্বর সদর ইউনিয়নের আপন তিন ভায়ের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার কিছু দিন যেতে না যেতেই উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের আবুল খায়ের খান বুরুজের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে ঐ বাড়ীতে থাকা বুরুজ খানের কেয়ারটেকার ইসমাইল ও তার স্ত্রী কে বেঁধে ইসমাঈলের স্ত্রীর কানের দুল সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয়। একই দিন বাবলু খানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে, তার ৪দিন পরে আবার পাশ্ববর্তী গড়ানিয়া গ্রামে ২২ ডিসেম্বর রাতে বুলবুলের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটানায় ১৪ লাখ ১৯ হাজার টাকার নগদ ও স্বর্ণলংকার নিয়ে যায় বলে জানায় ভুক্তভোগী বুলবুল । ঐ দিন রাতেই গরানিয়ার মহসিনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং মহসিনের ছেলে মকিম ডাকাতের কোপে আহত হয় তাদের শোরচিৎকার শুনে প্রতিবেশী শিরগ্রাম বাজারে কসমেটিকস ব্যবসায়ী কামরুল এগিয়ে আসলে ডাকাত দল তাকেও কুপিয়ে আহত করে। এমন ঘটনা ঘটার পর জনমনে চরম ভীতির ছাপ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় গ্রামে রাত জেগে পাহারা দেওয়া শুরু করেছে গ্রামবাসী।
আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, গরুর খামারে ডাকাতরা ডাকাতি করতে এসেছিল, এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে ডাকাতি না করে পালিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় যে পিকআপটি দেখা যাচ্ছে সে গাড়িতে নাম্বার অস্পষ্ট থাকায় গাড়িটি
চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে।
শিরগ্রাম ও গরানিয়ার ডাকিতির ঘটনায় ভুক্তভোগি কোন মামলা করে নাই তার পর আমরা আইন শৃংখলা ঠিক রাখতে গ্রামে পাহারা দেওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করে যাচ্ছি রাতে টহল টিম জোরদার করে যাচ্ছি।