

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ মোঃ মিজানুর রহমান নানা সময়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে এলো পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী( বড়বাবু )মোঃ আক্তারের বিরুদ্ধে,তিনি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও তার কর্মযজ্ঞ ছিল প্রথম শ্রেণী কর্মকর্তাদের মত। সরকারি বিভিন্ন ফাইল স্বাক্ষর করার জন্য নেন বিভিন্ন অংকের টাকা। তার কাছে জিম্মি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রথম শ্রেণীর ডাক্তারা। একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা বলেন, আমি ছুটির আবেদন করায় তিনি আমার কাছ থেকেও টাকা দাবি করেছেন আমি এখনো তাকে কোন টাকা দেয়নি। তাই এখন পর্যন্ত আমার ছুটি ও পাস হয়নি। এখন আমি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমারি মান ইজ্জত নষ্ট হবে সেজন্য আমি আর কিছুই বলিনি। নাম পরিচয় গোপন রাখা একজন সেবিকা জানান,তার ভয়ে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত সেবিকারা প্রকাশ্যে কোন প্রতিবাদ করতে পারেন না। আমাদের কোন ফাইল যদি তার নিকটে যায় তাহলে তিনি ফাইলটি তার টেবিলে ফেলে রেখে আমাদের থেকে বিভিন্নভাবে টাকার দাবি করেন টাকা দিতে না পারলে ফাইল দিনের পর দিন পড়ে থাকে এবং আমাদের বিষয়ে কেউ কোন কথা বলতে গেলে আমাদের পাগল বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি আরো জানান,তার নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা অথচ এই দপ্তরে একটি মূল্যবান কম্পিউটার পড়ে আছে তার কাজের দক্ষতা না থাকাই কম্পিউটারের দিনের পর দিন পড়ে আছে। কম্পিউটার দ্বারা যে সকল প্রয়োজনীয়ও কাজ করা হয় সে কাজগুলো অন্য স্থানে থেকে করে আনে। এবং এই সকল কাজের বিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বহন করে। তিনি বেশিরভাগ সময় টেবিলের উপর বসে চেয়ারের উপর পা দিয়ে সময় পার করেন। অফিস সহকারী ( বড়বাবু) মোঃ আক্তার বলেন, আমি কোন নার্সের সঙ্গে ভালো ছাড়া খারাপ ব্যবহার করিনা। এখন কেউ আমার নামে কিছু বলতে পারে। তিনি আরো বলেন,ভুল আমারও হতে পারে। পুঠিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার বিধান কুমার বলেন,আপনারা যে অভিযোগ এনেছেন এটি সত্য কারণ আমি নিজেও এই সমস্যায় ভুগতেছি! দু-একদিনের মধ্যেই আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিচালক যোগদান করবেন। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলবো। এছাড়াও তিনি কোন ডাক্তারকে কোন সময় পাগল বলে সম্বোধন করতে পারেন না। উপরোক্ত সব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তদন্ত করে যদি তার সত্যতা মিলে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।