সাইফুর রহমান শামীম,, কুড়িগ্রাম।। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে একটি দেশিও ছাগলের ৬ টি বাচ্চা জন্ম হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঙ্গ্যলের সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের গ্রাম থেকে শতশত নারী-পুরুষ বাচ্চাগুলোকে এক নজর দেখার জন্য ঐ বাড়ীতে ভিড় করেন। গৃহপালিত ঐ ছাগলের মালিকের বাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা গজেরকুটি গ্রামের। ছাগলের মালিকের নাম আসমত আলী ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। পেশায় একজন অটোচালক। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম গৃহিনী। স্ত্রী মনোয়ার বেগমের ইচ্ছায় আসমত আলী ধার-দেনা করেই একটি দেশি ছাগল কিনে দিয়ে স্ত্রীর আবদার পুরণ করে। এক বছরের মধ্যেই প্রথম বারেই দুই বাচ্চা জন্ম দেয়। দ্বিতীয় বারে চারটি বাচ্চার জন্ম দেয়,তৃতীয় বারে তিনটি বাচ্চা জন্ম দেয়। চতুর্থবারে সোমবার রাতে এক এক করে ৬ টি ছাগলের বাচ্চা জন্ম দেয়। এ খবর মঙ্গলবার সকালে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাগলের বাচ্চাগুলো এক নজর দেখার জন্য আটোচালক আসমত আলীর বাড়ীতে শতশত নারী-পুরুষের ঢল দেওয়ায়য়ায়টি হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, ছাগলের বাচ্চাগুলো দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে শতশত নারী-পুরুষ আসতম আলীর বাড়ীতে ভিড় করেন। মা ছাগল টি সুস্থ আছে। সাথে ৬টি বাচ্চাও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করছে। ৬টি বাচ্চা সু-স্বাস্থ্যবান। বাচ্চাগুলো তার মায়ের সঙ্গে চলাফেরা করেছে বাড়ির উঠান। ছাগলের ৬টি বাচ্চা হওয়ায় আসমত আলী ও তার স্ত্রী মনোয়ারাকে অনেকে ভাগ্যবান বলে অ্যাখ্যায়িত করছেন।
ছাগলের মালিক আসমত আলী ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, আল্লাহের অশেষ কৃপায় অন্যন্যা বার ২ থেকে চারটি বাচ্চা হলেও এবার ৬ টি ছাগলের বাচ্চা হওয়ায় আমরা বেশ খুশী হয়েছি। এ নিয়ে দেশি জাতের ছাগলটির মোট ১৫ টি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে।
খলিশাকোঠাল এলাকায় থেকে ছাগলের বাচ্চা দেখতে আসা সেকেন্দার আলী ও গজেরকুটি এলাকার বাদশা মিয়া জানান, আমরা আগেই কখনোই ছাগলের ৬টি বাচ্চা জন্ম হওয়া দেখিনি। এবারেই প্রথম দেখলাম। আল্লাহর অশেষ কৃপায় ৬ টি বাচ্চায় সুস্থ ও সুন্দর।
ঐ এলাকার কাছুয়ানি বেগম ও ফুলো বেগমসহ অনেকেই জানান, চারটা পাচটা পর্যন্ত ছাগলের বাচ্চা হয় দেখছি এবং শুনেছি। কিন্তু দেশি ছাগলের ৬টি বাচ্চা হয় তা আগে কখনও আমরা দেখিনি। এবারেই প্রথম দেখলাম। সত্যিই বাচ্চাগুলো দেখতে খুবেই সুন্দর। সত্যিই এই পরিবারটি খুবেই ভাগ্যবান। তা না হলে ছাগলটির ৬ টি বাচ্চাসহ মোট ১৫ টি ছাগলের বাচ্চা জন্ম দেয়।
গজেরকুটি গ্রামের ইউপি সদস্য মো.এরশাদুল হক জানান, আসলে মহান আল্লাহের অশেষ কৃপায় আসমত আলীর ছাগলের ৬ টি বাচ্চা হয়েছে। সত্যিই আসমত আলী ভাগ্যবান বলে আমি মনে করি। সকাল থেকেই ছাগলের বাচ্চাগুলো এক নজর দেখার জন্য শতশত মানুষের ঢল নামে। আমি নিজেই বাচ্চাগুলো দেখলাম। আগেই কখনও ৬ টি বাচ্চা হওয়া দেখিনি। চার থেকে পাঁচটি বাচ্চা হয়েছে দেখেছি। আসমত আলীর দেশি ছাগলের ৬ টি বাচ্চা হওয়ার পরেও ৬ টি বাচ্চাই খুবেই স্বাস্থ্যবান এবং দেখতেও অনেকটা সুন্দর।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: কৃষ্ণ মোহন হালদার জানান, চারটি পর্যন্ত ছাগলের বাচ্চাটি হয় এটা স্বাভাবিক। কখনও কখনও পাঁচটিও হয়। ৬ টি বাচ্চা হয় এটা ব্যতিক্রম। তবে এটা অস্বাভাবিকের কিছু না, হতেই পারে। আমরা ছাগলের মালিককে বাচ্চাগুলোর দেখাশুনার জন্য পরামর্শ দিবো এবং সেই সাথে বাচ্চাগুলোর খাদ্য দেওয়াও হবে।