জমি নিয়ে বিরোধের জের সেনাসদস্যের উপরে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতার নামে থানায় মামলা


বদরুদ্দোজা প্রধান পঞ্চগড় প্রতিনিধি পঞ্চগড়ে সেনাসদস্যের উপরে হামলার ঘটনার পরদিন যুবলীগ নেতার নামে মামলা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত সেনাসদস্য তরিকুল ইসলামের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন আলপনা বাদী হয়ে গত ২ এপ্রিল ১৯জনকে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় হত্যাচেস্টা মামলা দায়ের করেন। হত্যাচেস্টাকারী যুবলীগ নেতা হচ্ছেন আলী আকবর । তার বাড়ি সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের জোতসাঁওদা গ্রামে। সে ওই গ্রামের সাকিমুল হকের ছেলে। আকবর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক। মামলা দায়েরের পর পুলিশ হন্যে হয়ে খুজছে যুবলীগ নেতাকে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন জোঁত সওদা গ্রামের ১.খলিলুর রহমান(৫৪) ২.আশরাফুল ইসলাম(৫২) ৩.এনামুল হক(৬০) ৪. জাকির হেসেন(২৮) ৫. কমিস উদিদন(৪০) ৬. আসাদুল হক (২৬) ৭.স্বপন আলী (২২) ৮.আব্দুল বাকের(২৫)৯.আজগরআলী(২৭)১০.জহিরুলহক(৫৮)১১.রুবেল(৩২)১২.আনারুল(৫৬)১৩.তারেক(২৩) ১৪.রমজান(২৩) ১৫.সুয়েল(২৮) ১৬.আশিক(২৮) ১৭.আখিমুল(৬৫) ১৮.সাকিমুল(৬৩) এর আগে গত পহেলা এপ্রিল জোঁতসওদা গ্রামে আবাদী জমিতে কৃষি কাজের সময় আলী আকবর ও তার সহযোগীদের নিয়ে সেনাসদস্য তরিকুল ইসলামের উপর দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তরিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের নয়জন আহত হয়। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বর্তমানে রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মামলার এজাহার এবং সেনাসদস্যের পরিবার জানান গত পহেলা এপ্রিল তরিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের কৃষি জমিতে পেয়াজ তোলার কাজ করছিলেন। এসময় যুবলীগ নেতা আকবরের নেতৃত্বে এনামুল হক, খলিলুর রহমান সহ ২০ থেকে ২৫ জন জমিতে আসে প্রথমে জমি থেকে তাদের হঠিয়ে দেওয়ার চেস্টা করে । এসময় তরিকুল তাদের জমি ছাড়তে রাজী না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি সোঠা নিয়ে সেনাসদস্যের লোকজনকে মারধর শুরু করেন। পরে তরিকুলের লোকজন বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে তরিকুলের স্ত্রী আলপনার চিৎকারে আশেপাশের এলাকাবাসী ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে। এদিকে তাৎক্ষনিক ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ সেবা চাওয়ার পর পুলিশ এসে আহতদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। পড়ে গুরুতর আহত হওয়ায় সেনাসদস্য তরিকুল ইসলাম সহ আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে তরিকুল ইসলামের মালিকানাধীন প্রায় ৯ বিঘা জমি নিয়ে খলিলুর রহমান পরিবারের সাথে দ্বন্দ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিষ বৈঠকেও কোন সমাধান হয়নি। জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগও রয়েছে নয় বিঘা জমি নিয়ে। শাহনাজ পারভিন আলপনা জানান, আমরা আমাদের নিজস্ব জমিতে স্বামী-স্ত্রী মিলে পেঁয়াজ উত্তোলনের কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আলী আকবরের নেতৃত্বে একদল লোক অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত করতে এসেছিল। স্থানীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ঈদের পরদিন বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আমাদের ওপর এমন নির্মম হামলা চালানো হয়েছে। আমি হতবাক। এখন আমার স্বামী মাথায় ১৫টি সেলাই নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাহাফিজুর রহমান জানান সর্বচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে। প্রয়োজনে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।