বগুড়া জেলা সংবাদদাতাঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ইউনিয়নের জয়ন্তিবাড়ী দারুল হুদা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান এবং সুপার মোঃ নজরুল ইসলামের অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়েছে। রোববার ওই মাদ্রাসায় গিয়ে তদন্ত করেন শাজাহানপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিক আজিজ। এসময় তিনি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই মাদরাসায় অবস্থান করেন। অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ১৩জানুয়ারি বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর এবং ৩ফেব্রুয়ারিতে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক দুটি অভিযোগ দেন চুপিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম। অভিযোগ দুটির তদন্ত দায়িত্ব পান শাজাহানপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে মানব বন্ধন করে গ্রামবাসি। অভিযোগে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি না নিয়েই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং সুপার সিন্ডিকেট ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসের অন্তত ২০টি গাছ কেটে বিক্রি করেছে। সেই গাছের গোড়া গুলো এখনো সেখানেই আছে। এখনো কাটা একটি গাছ মাদ্রাসার পিছনে পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসির বাধার কারণে সেটি সরাতে পারে নাই কমিটি। পরপর দুই বছরের বেশি সময় সভাপতি পদে থাকার বিধান না থাকলেও কৌশলে টানা ১২বছরের বেশি সময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদে রয়েছেন পরিবহন ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান। সভাপতি এবং সুপারের সিন্ডিকেট নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে আত্বিয় করণে দেশের উদাহারণ হিসেবে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিক আজিজ বলেন, গ্রামের লোক হিসেবে সবাই সবার আত্বিয়। গাছ কাটার বিষয়ে মাদ্রাসার জমি মেপে দেখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপর স্পষ্ট হবে কার জায়গায় গাছ। অভিযোগের সব বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।