ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন জাহিদ হাসান জিহাদ।। বুধবার সকাল ১১:০০ টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অধীনে বছরব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । উক্ত অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত ছিলেন ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে এক সমীহ জাগানিয়া নাম। যারা একসময় বাংলাদেশকে নিয়ে উপহাস করতো, তারাই এখন বাংলাদেশের কাছে ওয়াইটওয়াশ হচ্ছে। বর্তমানের বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। মাত্র ১৩ বছরে দেশের মাথাপিছু আয় সাড়ে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। এ সব কিছু সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারনে। তারুণ্যের শক্তির উপর ভর করে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে স্বপ্নের ঠিকানায়। সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতির পিতার কর্ম ও আদর্শকে বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে ওআইসিএর অংগসংগঠন আইসিওয়াইএফ ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ ঘোষণা করে। ওআইসি এবং আইসিওয়াইএফ কর্তৃক সম্মানজনক এ স্বীকৃতি আমাদের তরুণদের জন্য সম্ভাবনা, সমতা ও সমৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচন করে। কোভিড পরিস্হিতিতে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তের তরুণদের প্রানবন্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে বছরব্যাপী নানা বর্নিল আয়োজন করে বাংলাদেশ সরকার তার সক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের নিজস্ব শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও আবহমানকালের হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্য আমরা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পেরেছি। এছাড়াও আমাদের তরুণরা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে অন্যান্য দেশের তরুণদের সাথে চিন্তা চেতনা, জীবনধারা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে। সর্বোপরি দেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। স্বাগত বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, করোনার সকল বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে বিশ্বের তরুণরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে এই অনুষ্ঠানটিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আমি মনে করি তারা এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে বিশ্বের বুকে একটি নজির সৃষ্টি করেছে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, তরুণরাই হলো একটি জাতির স্ফুলিঙ্গ। তাদের অদম্য মনোবল, প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং মেধাশক্তিই একটি সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অধীনে দেশী বিদেশি তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুই ধাপে দশটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বছরব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৮৯ টি দেশের প্রায় ৪ মিলিয়ন যুবক সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহন করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মোট ১৫৭ জন যুবক পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। উল্লেখ্য, ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অধীনে বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কম্পিটিশন, বঙ্গবন্ধু ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডিবেট ফেস্ট ফর ওআইসি ইয়ুথ, বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ আওয়ার্ড, ও আইসি নলেজ মাস্টার, অন্ট্রেপ্রেনারশিপ, স্কীলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্প, ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ফ্লিম অ্যাওয়ার্ড, স্কাউট কনফারেন্স ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, দ্য হলি কোরআন রিসাইটেশন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।