স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বিএনপির বক্তব্য তাদের সবকিছুতে কিন্তু খোঁজা আর চিন্তার দৈন্যের বহি:প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে রাজধানীতে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। গত ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে গেছে’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে প্রশ্ন- স্বাস্থ্যখাত যদি ধ্বংসই হয়, তাহলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত কিভাবে এই করোনাভাইরাসের তিনটি ঢেউ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কার্যকরভাবে, ভালোভাবে মোকাবিলা করলো?’
এবং টিকার ক্ষেত্রে ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেয়া শুরুই করেনি তখন বাংলাদেশ টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে এবং একসাথে কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বস্তিবাসি, ভাসমান মানুষ সবাইকে বিনা রেজিষ্ট্রেশনে যেভাবে টিকা দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের মত জনবহুল এবং উন্নয়নশীল কোনো দেশে এমন কার্যক্রম কমই হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কারণেই অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক কার্যকরভাবে এই মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং মহামারির সময় অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবাও চলমান ছিল।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিবও প্রশংসা করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রশংসা করে, মির্জা ফখরুল সাহেবরা করতে পারে না। বিএনপির সবকিছুতে কিন্তু খোঁজা এবং চিন্তার দৈন্যের বহি:প্রকাশ হচ্ছে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য।’
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমতির দিকে। পেঁয়াজ এবং শাকসবজি থেকে শুরু করে মুরগি -এগুলোর দাম কমতির দিকে। সরকার মনিটরিং করছে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
‘তবে দু:খ জনক হলেও সত্য, বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা একদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে অন্য দিকে
অসাধু ব্যবসায়ী, যারা সিন্ডিকেট করে তাদেরকে পণ্য মজুদ করা এবং পণ্যমূল্য বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছে, কিন্তু নানামুখী ষড়যন্ত্রের মধ্যেও সরকারের বিবিধ পদক্ষেপের কারণে পণ্যের মুল্য এখন কমতির দিকে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।