আরিফুজ্জামান চাকলাদার
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় যুবলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম রাজীবের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে বুধবার ১২ টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দুপুরে পৌরসভার সদর বাজারে চৌরাস্তা এলাকায় ব্যাবসায়ী,ছাত্র ও যুবসমাজের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কয়েকশত মানুষের দীর্ঘ এ মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা তৌকির আহমেদ ডালিম,ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তন্ময় উদ-দৌলা,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মোঃ তারিকুল ইসলাম,আলফাডাঙ্গা বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির নেতা মোঃ বকুল মিয়া,মোঃ আবেদীন শেখ ও মোহাম্মদ আলী মোল্লা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন,রফিকুল ইসলাম রাজীব একজন নিরীহ ও শান্তি প্রিয় মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে দীর্ঘ দিন ছাত্র ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত ২০ এপ্রিল বিকেলে তিনি ব্যাক্তিগত কাজে আলফাডাঙ্গা বাজারে অবস্থান করছিলেন। এসময় মোঃ জাহিদ হোসেন জাবেদ,মো. মামুন,সজীব,শামীম ও তুহিন গং এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রামদা,চাইনিজ কুড়াল সহ দেশীয় নানা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতে রাজীবের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনাটির দৃশ্য আলফাডাঙ্গা থানা ও পৌর সভা নিয়ন্ত্রিত সিসিটিভি ক্যামেরায় সংরক্ষিত রয়েছে বলে দাবী করেন বক্তারা। তারা আরো বলেন, এ ঘটনার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে গত ২৬ এপ্রিল মামলা হয়, এখনো কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। যা খুবই দূঃখ জনক। বরং উল্টো শক্তিশালী আসামীরা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে রাজীব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। মানববন্ধনে রাজীবের উপর হামলা ও তার নামে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবী করেন এবং একই সাথে দূষ্কৃতিকারীদের শনাক্তে সংশ্লীষ্ট এলাকায় বিদ্যমান সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ কৃত ঘটনার ভিডিও ফুটেজটি আলামত হিসাবে সংরক্ষণ করার জন্য থানা পুলিশের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। এব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের বলেন,এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সময় একজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।