এস.এম.বিপু রায়হান,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু নির্মাণ। আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাওয়া এ পদ্মা সেতু নিয়ে সারাদেশ এখন উৎসবে মেতেছে।
আর ১০ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আনন্দ সঙ্গীতের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট।
রোববার (১৯ জুন) বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের ভ্রাম্যমাণ টিম সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে প্রচারণা শুরু করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভ্রাম্যমাণ সাংস্কৃতিক প্রচারণা শুরু করা হয়। সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
শনিবার (১৮ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়াম থেকে জেলাব্যাপী প্রচারণায় নামে দলটি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ শাহ আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শ্যামলী খান, জেলা শাখার উপদেষ্টা আতাউর রহমান প্রমুখ।
পরে এ সাংস্কৃতিক দলটি সিরাজগঞ্জ জেলা শহর ছাড়াও কামারখন্দ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় উল্লাপাড়া ও কামারখন্দে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব পথসভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ শাহ আলম, সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান, জামতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন সিরাজগঞ্জ জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান চাঁদ বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন চন্দ্র দাস জানান, বাংলাদেশের গৌরব পদ্মা সেতু নির্মাণ। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের পর বাঙালির আরও একটি বিজয় পদ্মা সেতু। একাত্তরেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি স্বাধীনতা এনেছিল। ২০২২ সালে এসেও একইভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে।
তাই বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট পদ্মা সেতুসহ শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ১০ দিনব্যাপী আনন্দ র্যালির মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে। জেলার প্রতিটি অঞ্চলে এই আনন্দ র্যালিতে মানুষের প্রচুর সাড়া পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।