রাকিব হোসেন, ঢাকা
দেশের প্রান্তিক চাষি,খামারি এবং জনগণের দিকে নজর দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আপনারা যদি না বোঝেন তাহলে দেশের প্রান্তিক চাষি ওরা প্রান্তিক খামারিরা বাঁচবে না। খামারিরা না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না।
রবিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত ‘প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের দুর্দশা এবং তা থেকে মুক্তির উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আয়োজন প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু করেছেন। এটাকে জাঁকজমকের সঙ্গে উদ্বোধন করবেন এটি স্বাভাবিক কথা। কিন্তু এমন সময় করছেন, যখন দুই কোটি পরিবার ঈদ করতে পারবে না। বন্যায় তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও ৫০ লাখ।’
তিনি বলেন, ‘আপনার এই পদ্মা সেতুতে বড় বড় শিল্পপতির লাভ হবে। এই পদ্মা সেতু পারাপার কে হবে, প্রান্তিক মানুষ। তাদের জন্য আপনি কি করতে পারলেন?’
পোল্ট্রির খামারিদের উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা হলেন দেশের বুনিয়াদ। পোল্ট্রির খামারের মাধ্যমে শিক্ষিত ছেলেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। পোল্ট্রি খামারিদের জন্য একটা নীতিমালা করতে হবে।’
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি ঐক্য পরিষদের মহাসচিব কাজী মোস্তফা কামাল ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে— কোনও হ্যাচারির মালিক বাণিজ্যিকভাবে রেডি ব্রয়লার মুরগি ও লেয়ার মুরগি পালন করতে পারবে না, মুরগির খাদ্যের দাম কমাতে হবে, খাদ্য ও বাচ্চার মান প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং বিএসটিআই কর্তৃক সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হবে এবং খামারিদের বিদ্যুৎ বিল শিল্পহারে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, সংগঠনের সাবেক সম্পাদক ও মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ডা. আব্দুল জব্বার শিকদার, সংগঠনের সভাপতি মিজান বাশারসহ বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক পোল্ট্রির খামারিরা।