মোঃ মজিবর রহমান শেখ:শিশুটির জন্মই হয়েছে হার্টের ছিদ্র নিয়ে। বিষয়টি ধরা পড়ার পর দিনমজুর বাবা সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। তবু সন্তানকে সুস্থ্য করে তুলতে পারেননি। তার অবস্থা ক্রমশঃ খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এখনই অপারেশন করতে না পারলে খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ছেলেটির নাম নাহিদ হাসান, বয়স ৮ বছর। বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর কাজিপাড়া গ্রামে। লেখাপড়া করছে মুন্সিরহাট মাদ্রাসায়। ওর বাবা মো. ফারুক পেশায় দিনমজুর। নাহিদ জন্মের পরই ঘন ঘন অসুস্থ হতে থাকে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ধরা পড়ে ছেলেটির “হার্টে ছিদ্র রয়েছে”। ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর হয়ে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় চিকিৎসা করাতে শুরু করেন তিনি।
গত ৭ বছর ধরে নাহিদের চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুঁটে বেড়িয়েছেন নাহিদের বাবা। সব জায়গা থেকেই বলা হয়েছে অপারেশন করলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতে পারে ছেলেটি। এভাবে চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিনমজুর ফারুকের সঞ্চিত সব অর্থ শেষ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে ফারুক সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। কিছুদিন উপার্জন করার পর আবার নাহিদের চিকিৎসা শুরু হয়। এভাবে বিরতি দিয়ে চিকিৎসা করানোর ফলে কার্যত নাহিদের কোন উপকার হচ্ছিলনা।
সম্প্রতি নাহিদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন দ্রæত অপারেশন করে ছিদ্র বন্ধ করতে না পারলে “খারাপ কিছু একটা ঘটে যেতে পারে”। একথা শোনার পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন নাহিদের বাবা-মা। তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন তার ছেলের চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য। নাহিদের বাবা ফারুকের সাথে ০১৭২৭-০৩৫২১৭ নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে।