মোঃ রতন মাদবর ,লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ এই তিন মাস দেশীয় মাছের প্রজননের সময়। এইসময় নদীতে জোয়ার আসে । জোয়ারের সাথে সাথে নদী থেকে ডিমওয়ালা মাছ চলে আসে মিঠা পানিতে। লৌহজংয়ের ১০ টি ইউনিয়নে কিছু অসাধু জেলে ও সাধারণ মানুষ এ সময় নিষিদ্ধ চায়না চাঁই দিয়ে সাবার করছে দেশীয় মাছ। এ চাঁই দিয়ে মাছের পোনা থেকে শুরু করে বোয়াল মাছ পর্যন্ত ধরা পড়ে। এর ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় মাছ।এখন অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত প্রায়।এভাবে চললে আগামী ১০ বছর পর দেশীয় মাছ বলতে কিছুই থাকবে না। এক সময় কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হতো। বাংলাদেশ সরকার কারেন্ট জাল ও চায়না চাঁই নিষিদ্ধ করেছেন। তারপরও অসাধু জেলে ও সাধারণ মানুষ মাছ ধরছে।
বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আঃ মালেক শিকদার জানান, আমাদের ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদে, হাট বাজার ও রাস্তা ঘাটে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়েছে যে কোন প্রকার কারেন্ট জাল ও নিষিদ্ধ চায়না চাঁই দিয়ে মাছ ধরা যাবে না। এমনকি কেউ যদি এই আইন অমান্য করে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
লৌহজং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, চায়না চাঁই বা চায়না দুয়ারী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সেই অর্থে আমরা পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। ইউনিয়ন পর্যায়ে অভিমান পরিচালনা করা হবে।নদী-নালা খাল বিল ও পুকুরে কিছু কিছু মানুষ নিষিদ্ধ চায়না চাঁই ব্যবহার করে মাছ ধরছে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যদি একটু সচেতন হোন তাহলে দেশীয় মাছ বৃদ্ধি পাবে মূলত সচেতনতাই পারে দেশীয় মাছ রক্ষা করতে।