মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তালুকদার,নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি পূর্বধলাঃউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ দেওয়ার হয় রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট ও স্টোর কিপারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০.৩০টার দিকে ফার্মাসিস্ট মো. শাহজাদা ও স্টোর কিপার আবুল কালাম ভূক্তভোগী মিজানুর রহমানকে (৪৫) মেয়াদ উত্তীর্ণ গার্গল ও মাউথওয়াস এর ঔষধ দেন তারা।
ভূক্তভোগী উপজেলার বহুলী গ্রামের বাসিন্দা। পূর্বধলা বাজারের ক্রোকারী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, দাঁতের ব্যাথার চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগ থেকে পাঁচ টাকা টিকেট কেটে হাসপাতালের ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার মুখওয়াসের ঔষধসহ কয়েক প্রকারের ঔষধ লিখেন ও হাসপাতাল থেকে দেওয়ার জন্য স্লিপ লিখে দেন চিকিৎসক। স্লিপটি ফার্মাসিস্ট মো. শাহজাদা ও স্টোর কিপার আবুল কালাম দিলে তারা মাউথওয়াসের জন্য পভিসেফ ঔষধ দেন। তা নিয়ে পূবধলা বাজারে নিজের ক্রোকারী দোকানে চালে আসি। এসে দেখতে পায় পভিসেপ ঔষধটি প্যাকেটে লেখা চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, চারমাস আগে মেয়াদোত্তীর্ণ ব্যবহার করলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারতেন। এমন মেয়দোত্তীর্ণ ঔষধ না জানি কতজনকে দেওয়া হয়েছে। এরসাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে স্টোর কিপার আবুল কালাম বলেন, শেষের সরবরাহ থেকে ঔষধ দিয়েছি। এর আগের সরবরাহকৃত কোন ঔষধ ছিল কিনা তা তার জানা ছিল না।
আর ফার্মাসিস্ট মো. শাহজাদা বলেন, ঔষধের গাঁয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা তা দেখেই তো দেওয়া হয়। ভূলক্রমের প্রদান করা হয়েছে জানান তিনি।
পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান শাহীন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। অতিদ্রুত তিনসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত পূর্বক আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। স্টোরগুলো পরিদর্শন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ প্রদানের বিষয়টি জানতে পেরেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।