মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা বাংলাকে সম্মান জানাতে ভারতীয় বংশদূত চিরকুমার মৃণাল দাশ(৫৫)পায়ে হেঁটে গত ১০ই ফেব্রæয়ারি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা। এ ভাষা অর্জনে একমাত্র বাংলাদেশের সন্তানরা বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে আতœত্যাগে বিশ্বের বুকে মাতৃভাষা আগলে রেখেছিল। আর এ ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিকামী মানুষ বাংলাদেশকে পরাধীনতার শিকল থেকে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জন করে।
দীর্ঘ ৭১ বছর পর আজ সারা বিশ্বের মানুষ মহান ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসাবে ভক্তি শ্রদ্ধাভরে পালন করছে। আমাদের মাতৃভাষার সম্মানে যখন ভিনদেশি মানুষ দেশত্যাগ করে দীর্ঘ ৮০০ কিলোমিটার পায়ে হেটে বাংলার মানুষের ভাষার সান্নিধ্য পেতে মুসাফির হয় তখন তো আনন্দে চোঁখে জল চলে আসে বলে জানান,সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স,ম আলাউদ্দীন সাহেব এর কন্যা লায়লা পারভীন সেজুতি।
কথা হয় ভাষার প্রতি অনন্য শ্রদ্ধা ও ভালবাসার প্রতীক মৃণাল দাশ এর সাথে। তাঁর বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুরা এলাকার বাসিন্দার সাথে। তাঁর বাবার নাম অরুণ কৃষ্ণ দাশ। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চিরকুমার। পেশায় গৃহশিক্ষক। মহান বাংলাভাষা যে কেবলই বাংঙ্গালীর ভাষা নয়,এ যে বিশ্বের সকলের ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাই এ ভাষার সম্মানে ভাষার মাসে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও শহীদের স্বরণে পায়ে হেটে ভোমরা হয়ে ঢাকা ঘুরে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আবারও ভারতে প্রবেশ করবেন।
তিনি গত ৭ ই জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের লেগকার্ডেন থেকে পায়ে হেটে যাত্রা শুরু করেন। ১০ই ফেব্রæয়ারি ভোমরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঢাকার পথে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে,তিনি জানান,বাংলাদেশের মানুষ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। বাঙ্গালী মানে এক স্বত্বা, এক জাতী। কেবলই সীমান্ত আমাদের কে পৃথক করে রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের ব্যবহারে তিনি মুগ্ধ। মানুষটির মধ্যে কোন অহংকার নেই। পিঠের ব্যাগে সযতেœ বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ও ভারতের পতাকা পরম শ্রদ্ধাভরে বহন করে নিয়ে চলেছেন। পথে পথে হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় তিনি সিক্ত হয়ে নিজেকে উচ্ছিসিত ও উৎবৈলিত মনে করছেন।