মোঃ রায়হান জোমাদ্দার,স্টাফ রিপোর্টারঃ নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্মৃতি (৩৬)কে ধর্ষণ শেষে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক ঘাতক মামাতো ভাই মোঃ বাপ্পি সরদার ওরফে তুষার সরদার বাপ্পিকে আটক করেছে। ঘাতক বাপ্পি ধর্ষণের ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে
গত ২৬ এপ্রিল সকাল অনুমান ০৯:৩০ ঘটিকার দিকে কামদেবপুর গ্রামের জনৈক হারুন মোল্লার জমিতে নিহতের চাচাতো ভাই আল-আরাফাত নিজাম মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে পাশ্ববর্তীবাড়ির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্মৃতি (৩৫) পিতা- মৃত মতিউর রহমান, সাং পশ্চিম কামদেবপুর, থানা-নলছিটি, জেলা- ঝালকাঠিকে মৃত রক্তাক্ত ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মৃতার বাড়িতে এবং পুলিশকে জানায়।
নলছিটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
পরবর্তীতে পুলিশপ্রযুক্তির ব্যবহার ও বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মাধ্যমে মোঃ বাপ্পি সরদার ওরফে তুষার সরদার বাপ্পি (২৪) পিতা- মোঃ ফেরদৌস সরদার, মাতা- মৃত স্বপ্না বেগম সাং- মধ্য কামদেবপুর, থানা- নলছিটি, জেলা- ঝালকাঠি কে ২৯/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ গ্রেফতার করে
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত বাপ্পী ঘটনার কথা স্বীকার করে। স্মৃতি ও বাপ্পি সরদার পরস্পর আপন মামাতো ফুফাতো ভাই- বোন। তাদের মধ্যে পূর্ব থেকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি ছিল এবং উভয়ের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার দিন রাতে মোঃ বাপ্পি সরদার স্মৃতির মায়ের বসত ঘরে পিছনের দরজায় কড়া নাড়িলে স্মৃতি দরজা খুলে ঘর থেকে বের হয়। তখন বাপ্পি স্মৃতিকে (৩৫) কে তার বসত ঘরের উত্তর পার্শ্বে বাগানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষন করে।
ধর্ষনের পরে স্মৃতি বাপ্পিকে কালকের মধ্যে বিবাহ করতে বললে বাপ্পী পাশে থাকা মাটির শুকনো চাকা দিয়া স্মৃতির মাথার পিছনের দিকে গুরুত্বর আঘাত করে এবং স্মৃতির বুকে, পেটেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি মারে। এতে স্মৃতির মৃত্যু হয়। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।