আনোয়ার হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ঘরবন্দী মানুষ কর্মক্ষেত্রে বের হয়েছেন, নতুন করে আবার কাজ শুরু করেছেন ঠিক এ সময়ে হঠাৎ করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা।
আধুনিকতার ছোয়ায় গ্রাম গুলোতে বেশি দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ।
আর এ রোগে শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সীরা আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও কিশোররা।
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের পর গ্রামের অধিকাংশ সাধারণ পরিবার গ্রাম্য ডাক্তার বা ফার্মসীর চিকিৎসায় ঝুকছেন। যা রোগীর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ।
অন্যদিকে গ্রাম্য বা ফার্মেসীর ঔষধ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করে আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
আক্রান্ত রোগীদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহর গুলো থেকে ঈদ করতে বাড়িতে আসার কারনেই বেশীর ভাগ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব গ্রামাঞ্চলে সব থেকে বেশি দেখা মিলছে। এতে করে অনেকের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: আবু তাহের বলেন,এই পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে প্রায় ১০০(একশত) রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। সবাই সুস্থ্য হয়েছেন। বর্তমানে ০৮(আট)জন চিকিৎসাধীন আছে।এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে গ্রাম্য চিকিৎসক বা ফার্মেসীর উপর নির্ভরশীল না থেকে সরকারি হাসপাতাল এসে চিকিৎসা নিলে দ্রুত সময়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি যেতে পারে। এটা একধরনের ভাইরাস যা মশা থেকে ছড়ায় । কিছু লোকের অজ্ঞতার কারনেই রোগটি জটিল হয়। পাশাপাশি নিজ ঘরে যারা আছে তারা এবং প্রতিবেশীগন এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুকি থাকে।এর মধ্যে যারা হাসপাতালে সু-চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকেই এখন রয়েছেন সংখ্যামুক্ত।
একটু সচেতন থাকলে ডেঙ্গু আক্রান্ত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি সবাইকে সু-চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতাল মুখি হওয়ার আহ্বান জানান।