মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় জমে উঠেছে কলার চাষ।ঠাকুরগাঁও জেলার উৎপাদিত সাগর কলা দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। গ্রীস্ম কালের শেষের দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শত শত একর জমিতে কলা চাষ করা হয়। সবচেয়ে কলা বেশি বিক্রি হয় বদেশ্বরী বাজারে । এই হাটে এখন চাষি-ব্যবসায়ী ও পাইকারদের ব্যস্ততা। জমে উঠেছে কেনাবেচা।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার সব কটি উপজেলাতেই কমবেশি কলা চাষ হয়। তবে বেশির ভাগ কলা চাষ হয় বদেশ্বরী, সালন্দর, গড়েয়া, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সহ ২২ টা ইউনিয়ন নেই । ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিদেশ সরি এলাকায় বড় কলার হাট বসে। ঢাকার বাদামতলী, যাত্রাবাড়ী, তেজগাঁও, ওয়াইজঘাট, নারায়ণগঞ্জ জেলা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন জেলা শহর থেকে কলা ব্যসায়ীরা কলা কিনতে আসেন। কলা চাষি সাহাজামাল, সবুর, আজিজুর বলেন, কলা চাষে তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। গত বার ২০০ গাছ দিয়ে বাগান শুরু করি। এবার সেখানে ৫০০ গাছের বাগান করেছি। বাগানে মোট খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। প্রায় ২ লাখ টাকার কলা বিক্রির আশা করছি। কলার বাগানে যে খরচ হয়েছে, বাগানের ভেতরে বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ থেকেই সেটা উঠে এসেছে। ব্যাপারীরা জানান, গত বছর প্রতিটি কলার কাঁদি কিনেছেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। সে হিসাবে কাঁদিপ্রতি দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। কলার দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরাও। ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষি সম্প্রসারণ সুত্রে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে এবার চাহিদা বেশি থাকায় দামও কিছুটা বেশি। কলা চাষে খরচ কম। এছাড়াও ঝুঁকি ও রোগবালাইও কম। তাই দিন দিন কলা চাষ জনপ্রিয় হয়েছে।