এম এ হানিফ রানা – সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের গনির টেকের একটি মৃত সড়কের কাহিনি বলছি। খালি চোখে দেখলে আপনি নিজেই বুজতে পারবেন না এই রাস্তা দিয়ে একসময় হাজার হাজার মানুষের চলাচল ছিলো। যদি আপনি হেঁটে প্রধান সংযোগ সড়কে উঠতে চান তবে কোমড় পর্যন্ত ডেবে যাবেন এটা নিশ্চিত। কোথাও কোথাও এখন হয়ে গেছে ডোবা। রাস্তাটার দৈর্ঘ্য ১ কিলোমিটারেরও কম হলেও ভোগান্তি পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। আশেপাশের বাড়িঘরের মানুষজন বেরুতে পারছে না।অসুস্থ হলে কোলে করে নিতে হচ্ছে মূল সড়কে। অল্প বৃষ্টিতেই সমস্ত রাস্তা সহ অনেক বাড়িতেই ময়লা পানি ডুকে যায়।এলাকাবাসী নিজেরাই কয়েকবার রাবিস বালু ফেলে রাস্তা দিয়ে চলাচলের ব্যবস্হা করলেও সেটা অল্প বৃষ্টিতেই আবার নস্ট হয়ে যাচ্ছে। অল্প রাস্তার জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেক রাস্তা ঘুরে অফিসগুলোতে যেতে হচ্ছে ফলে সময় ও হাজিরা দুই ক্ষতির মুখে পরছে। সেই সাথে ডোবায় পরিনত হওয়াতে সাপ ও ডেঙ্গুর ভয় তো আছেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্হা না থাকায়। তাই আশেপাশের সমস্ত পচা ও দুর্গন্ধময় পানি চারপাশ ঘিরে আছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ গত কয়েক বছরেও এদিকে কাউন্সিলর আসেননি। নির্বাচনের সময় ভোট চাওয়া ছারা তিনি এই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখাননি। এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার কাউন্সিলের সাথে এই যোগাযোগের একমাএ মাধ্যম রাস্তা নিয়ে কথা বলেও কাজ হয়নি। আরো কে বা কারা রাস্তার ইট তুলে নিয়ে গেছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাস্তায় বেড়া দেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটেছে। রাস্তার সংস্কারের বিষয় নিয়ে জাতীয় দৈনিক আলোচিত কন্ঠের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এম এ হানিফ রানা ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথেও বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছেন। নির্বাচনের আগেও সাক্ষাৎ করলে নির্বাচন পরবর্তী সময় করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু পাশ করার পরে আবারো সাক্ষাৎ করলে এক শুক্রবার ফোন দিতে বলেন দেখবেন বলে। সেই দিন ফোন দিলে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে আসেননি সর্বশেষ ০৮-১০-২০২৩ ইং মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান যদি সিটি করপোরেশনের লোকাল টেন্ডার না দেয় তাহলে তার পক্ষে সম্ভব নয়। ১০ টাকারও ক্ষমতা নেই বলে উল্লেখ করেন। প্রস্তাব রাখা হয়েছিলো আপাততঃ ব্যাক্তিগত ভাবে যদি কিছুটা রাস্তার সংস্কার করা যায় কিনা? জবাবে কাউন্সিলর জবে বলেন রাস্তা করতে কম হলেও ৫০ লক্ষ্য টাকা লাগবে বলে তিনি জানান। এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ এই এলাকার কথিত কিছু ব্যাক্তির সার্থ হাসিলের জন্য কি রাস্তা দীর্ঘ রানিং ৩ বার ক্ষমতায় থাকার পরেও উন্নয়ন হয়নি?? একাধিকবার তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও এই রাস্তার চেহারা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। আর মাদকের মতো ভয়াল থাবা তাই বিস্তার ঘটছে সহজে। ২০১৩,২০১৮ থেকে সর্বশেষ ২০২৩ সালেও তিনি নির্বাচিত হয়েছেন তবুও পরিবর্তন ঘটেনি এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্হার একমাএ রাস্তাটির। এখন সকলেই মনে করছেন একমাএ গাজীপুরের ” আম্মাজান ” খ্যাত বর্তমান মেয়র জায়েদা খাতুনের সু দৃষ্টিতে আসলেই কেবল পরিবর্তন সম্ভব। এলাকাবাসী সুস্পষ্ট ধারনা যদি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম যদি ক্ষমতায় থাকতেন তাহলে অনেক আগেই এই রাস্তাটি হয়ে যেতো। তাই সকলের একটাই চাওয়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সম্মানিত মেয়রের সু দৃষ্টিতে আসলে তবেই হয়তো হাজারো মানুষের কষ্টের লাঘব ঘটবে।