সাইফুর রহমান শামীম,,কুড়িগ্রাম :।।।। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৫ কুড়িগ্রাম-১ আসন (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) এলাকার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আপমর জনগণ এবং আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নৌকার অভিভাবক হিসেবে দেখতে চায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন কে। মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারে জন্ম। স্বাধীনতা পরবর্তীতে শোভনের দাদা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম শামসুল হক চৌধুরী ১৯৭০, ১৯৭৩ ও ১৯৭৯সালে কুড়িগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং ১৯৭৭সালে দেশের ক্রান্তিলগ্নে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। শোভনের বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন ১৯৮১সালে ছাত্রলীগ, ১৯৯১সালে যুবলীগের সভাপতি ছিলেন ও ২০১৪সাল থেকে দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগে ২৩বছর থেকে সাধারণ সম্পাদক আছেন। পরবর্তীতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০১৮সালে শোভনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত করায় জাতীয়পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রাম-১ আসন শোভনের নেতৃত্বে পুর্নরুদ্ধার হয়। এলাকার তরুণ প্রজন্মের কাছে শোভন এ আসনে অনেক জনপ্রিয় এবং সর্বস্তরের জনগণের নিকটে উন্নয়ন ও আস্থার প্রতীক। কুড়িগ্রাম-১ আসনে তাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে এ আসনটি অজীবন নৌকার আসন হিসেবে বিবেচিত হবে। দলমত নির্বিশেষে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে শোভনকে এই আসনের অভিভাবক হিসেবে জনগণের চাওয়া। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়মিত জনসংযোগ ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকও করছেন। তাদের সাথে বেশ সখ্যতাও রয়েছে তার। এছাড়া এলাকার তরুণ ভোটারসহ সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নির্বাচনী মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে এগিয়ে শোভন। একাধিক নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, শোভন কে কুড়িগ্রাম-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন দিলে এ আসনটি আজীবন নৌকার ঘাটি হিসেবে তৈরী হবে। দলমত নির্বিশেষে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে শোভনকে এই আসনের অভিভাবক হিসেবে সবার চাওয়া। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, আওয়ামী পরিবারে আমার জন্ম। দাদা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও তিনবারের সংসদ সদস্য মরহুম শামসুল হক চৌধুরী এবং বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২৩বছর থেকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার দায়বদ্ধতা থেকে আমিও মানুষের সেবা করছি। যতটুকু সম্বল আছে, ততটুকু দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনারও কুড়িগ্রামের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দরিদ্র-পিড়িত অধিকার বঞ্চিত নদী ভাঙন কবলিত মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো। বিভিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ এবং দাতা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণসহ এলাকার উন্নয়নের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। নদী ভাঙন রোধ হচ্ছে আর এই নদীকে শাসন করে নদীপাড়ে শিল্পনগরী গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে দুই উপজেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ভুরুঙ্গামারী ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণ সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভুটান, নেপাল ও আসামের অঞ্চলে বাণিজ্য করাসহ সোনাহাট স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চালু প্রকৃয়াধীন এবং এ বন্দর বাস্তবায়ন হওয়ায় ভুরুঙ্গামারীসহ কুড়িগ্রামের দারিদ্র-পিড়িত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে চাবিকাঠি রুপান্তরিত হয়েছে। সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের ধরলার পাড়ে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে প্রকল্প প্রকৃয়াধীন এবং বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আমাকে কুড়িগ্রাম ১ আসনে মনোনয়ন দিলে আমি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসনটি আজীবনের জন্য উপহার দেব।