বিশেষ প্রতিনিধিঃ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ জুলাই শুক্রবার বিকালে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে মোবারক আলী মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জানাযায় লালমোহন উপজেলার রামগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরউমেদ গ্রামের দিনমজুর মোঃ মাকসুদ উল্যাহর কন্যা মোসাঃ সুমা বেগম (২৭)কে পাশ্ববর্তী উপজেলা চরফ্যাশন আসলামপুর ইউনিয়নের মুন্সুর আলী মাঝির ছেলে আবু জাহেরের সাথে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ইসলামি শরীয়া মোতাবেক তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে সামাজিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় কন্যার সুখের কথা চিন্তা করে আবু জাহেরের পরিবারের দাবি অনুযায়ী নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ২ ভরি স্বর্নালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল দেওয়া হয়।বিবাহের এক বছর মোটামুটি ভালোই চলছে তাদের সংসার। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দেড় বছরের মাথায় চলে আসে তাদের সংসারে অশান্তি। পাষন্ড স্বামী কথায় কথায় শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে এবং বাপের বাড়ী থেকে ১ টি মোটরসাইকেল কিনে নিয়ে আসার দাবি জানায়।তার দাবী অনুযায়ী দিনমজুর বাবা অনেক কষ্টে মটরসাইকেল কিনে দেন। তারপর থেকে কিছুদিন ভালো চল্লেও আবারো বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য নির্যাতন চালায় পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবার।টাকা আনার অপারগতা প্রকাশ করায় চলে অমানবিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন বিকালে সুমাকে এলোপাতারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।সুমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম ও মাথা প্রচন্ড আঘাত করে। সুমার পিতা খবর পেয়ে সুমাকে আনতে ওই বাড়িতে গেলে তারা সুমার পিতাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে,এক পর্যায়ে চরফ্যাশন থানা পুলিশের সহোযিগতায় তারা চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হন। এঘটনায় সুমার পরিবার ন্যায় বিচার দাবি জানায়। এবিষয়ে অভিযুক্ত আবু জাহেরের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার আগের ঘরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ওই সন্তানকে আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন, বিষয়টি আমার শ্বশুরকে জানালে তিনি কোন সমাধান না দিয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে তাদের বাড়ীতে চলে যায় এসময় তার সাথে হাতাহতির ঘটনা ঘটে।