মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলা:
চুরি, ছিনতাই,সামাজিক দাঙ্গা ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে জন সাধারণের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন ভোলার ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই গোলাম মোস্তফা।
এ বছরের ২৯ জানুয়ারি ভোলার ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই একাধিক মাদক ব্যবসায়ী,ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করে রীতিমতো অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করে জন সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন এই
কর্মকতা। ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যোগদানের পর ভোলা জেলায় শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধার কারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ১০ বার,বরিশাল রেঞ্জে ৬ টি জেলার ৪৭ টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৮ বার সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বরিশাল রেঞ্জের রেঞ্জ ডিআইজি’ জামিল হাসান বিপিএম পিপিএম এর কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক ও ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ কমিউনিটি দিবসে কমিউনিটি পুলিশে বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুলাহ আল মামুন বিপিএম পিপিএম কর্তৃক প্রেরিত শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকতা হিসেবে সম্মাননা স্মারক লাভ করেন।
জানা গেছে,ভোলার বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ২০২১ সালে ইনচার্জ থাকাকালীন সময়ে এক হত দরিদ্র অটো চালক কিশোরকে মেরে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা মামলার ঘটনায় হামলারী ৩ জনকে গ্রেফতার,২০২২ সালে ভেলুমিয়া ইনচার্জ থাকাকালীন সময়ে বহুল আলোচিত জয়তুন হত্যা মূল আসামী সহ ৫ জন গ্রেফতার,ভেলুমিয়ায় চোরাইকৃত ১৩ টি মটর সাইকেল উদ্ধার ও মূল হোতা সহ চোর চক্রের চিহ্নিত ১১ জন সদস্য গ্রেফতার,৫ টি চোরাইকৃত অটো রিকশা উদ্ধার চক্রের ৫ সদস্য আটক,এ বছরের ১৪ মে পূর্ব ইলিশা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলোচিত কুলসুম হত্যা মামলার আসামী তার স্বামী তছির আহমেদ কে গ্রেফতার পূর্বক মামলার রহস্য উদঘাটন এবং রাজাপুর আলোচিত বাবু হত্যা মামলার ৪ জন আসামী গ্রেফতার,ইলিশা পরানগঞ্জে চোরাইকৃত গরু উদ্ধার,সর্বশেষ
ইলিশা আলোচিত আটো ছিনতাই করে চালককে হত্যা মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার,বিভিন্ন ঘটনায় একের পর এক আলোচনায় এসে প্রশংসায় ভাসছেন এই কর্মকতা।
সন্ত্রাস ও মাদকের বিস্তার রোধকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামান এর নির্দেশে ও ভোলা সদর থানার ওসি শাহীন ফকিরের তত্ত্ববধায়নে কাজ করে যাচ্ছেন ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা।
স্থানীয়রা জানান,ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা বিচক্ষণতার সাথে প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় এ এলাকায় মাদকের হটস্পটখ্যাত এরিয়া থেকে মাদক কারবারি ও বখাটে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তারা আরো বলেন,আমরা সাধারণ জনগণ ও পুলিশ মিলে একসঙ্গে কাজ করলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনা ও অপরাধ রোধ করা সম্ভব হবে। সন্ত্রাস- মাদকের বিরুদ্ধে কমিউনিটি পুলিশকে কাজে লাগাতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন,বর্তমান সরকার মাদক-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আপোষহীন ও দৃঢ়প্রত্যয়ী। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই আমরা মাদকের আগ্রাসন থেকে যুবসমাজকে মুক্ত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতিটি সেক্টরে ও মহল্লাগুলোতে কমিউনিটি পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণকে নিয়ে পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জঙ্গিবাদ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পুলিশের কার্যক্রম কে বেগবান করার লক্ষ্যে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামান বিপিএম ও ওসি শাহীন ফকির মহোদয়ের নির্দেশে জনগণের সাথে পুলিশের কমিউনিটি বৈঠকের মাধ্যমে কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী ধর্মীয় নেতাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে শান্তি-শৃঙ্খলায় রাখতে প্রতিনিয়ত বৈঠক করা হচ্ছে।ইলিশা এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে জনসচেতনতাও সর্বোচ্চ মাত্রায় বৃদ্ধি করেছি। দেশের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে পুরো জাতিকে মাদকের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হবে বিধায় এই এলাকার যুব সমাজকেও সচেতনামূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।তিনি আরো বলেন, জনগণ পুলিশের বন্ধু, জনগণের সেবায় পুলিশের মুখ্য দায়িত্ব।যেদিন থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছি পাশাপাশি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একক অর্জন বলে কোন কথা নেই যা কিছু অর্জন করেছি তা আমাদের ভোলা জেলা পুলিশ সুপার,ওসি মহোদয়,আমাদের তদন্ত কেন্দ্রের সকল পুলিশ সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।