স্বপন কুমার রায়, খুলনা ব্যুরো প্রধান: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুর শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর মৃত্যুঝুঁকি কমায়। তাই শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। ভ্রাম্যমান জনগোষ্ঠীর জন্য প্রত্যন্ত এলাকা, রেলওয়েস্টেশন, বাস ষ্ট্যান্ড, লঞ্চঘাটসহ প্রতিটি স্থানে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এজন্য সকল অভিভাবকদের টিকা কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আসার আহবান জানান মেয়র।
তিনি আজ (মঙ্গলবার) সকালে নগরীর ২ নম্বর কাস্টমঘাটস্থ আমিরাবানু বেগম নগর মাতৃসদন প্রাঙ্গণে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ অপর্ণা বিশ^াস, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম কামাল হোসেন, কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর কনিকা সাহা, ইউনিসেফের প্রতিনিধি শারমিন আক্তার প্রমুখ বক্তৃতা করেন । এসময় কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরীর মোট এক লাখ ২২ হাজার চারশত ৭৮ জন শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস’ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১৪ হাজার ছয় শত ১২ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুর সংখ্যা এক লাখ সাত হাজার আটশত ৬৬ জন। এছাড়া খুলনা জেলার ৯ টি উপজেলা এবং ২ টি পৌর সভায় মোট ১ লাখ ৯১ হাজার নয়শত ৯৪ জন শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ হাজার আটশত ৭৯ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার একশত ১৫জন।
কর্মসূচি সফল করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের চারটি জোনে সাতশত ১০টি কেন্দ্রে ৬২জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এক হাজার চারশত ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া খুলনা জেলার দুইটি পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনসহ নয়টি উপজেলায় ৬৮টি ইউনিয়ন এবং দুইশত চারটি ওয়ার্ডে এক হাজার ছয়শত ৪১টি কেন্দ্রে তিন হাজার দুইশত ৮২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।