নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আন্তর্জাতিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রাজশাহী এসিও এর আয়োজনে মহিষবাতানস্থ কারিতাস বাংলাদেশ রাজশাহী রিজিওনাল কার্যালয়ের ফাদার চেস্কাতো হলরুমে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে শিশু সুরক্ষা ও এ্যাডভোকেসী নেটওয়ার্ক গঠনের লক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক একেএম মুজাহিদুল ইসলাম, বিশপ জের্ভাস রোজারিও, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম রাজশাহীর সহকারী পরিচালক দেব্রত বর্মন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রাজশাহী এসিও এর সিনিয়র ম্যানেজার স্বপন মন্ডল। এ্যাডভোকেসী নেটওয়ার্ক এর গাইড লাইন উপস্থাপন করেন এ্যাডভোকেসী এন্ড সোশ্যাল প্লেইন ল্যান্ড ক্লাস্টারের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর তানজিমুল ইসলাম। অনষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ পবা এপি এর প্রোগ্রাম অফিসার পলাশ হিউবার্ট বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে পবা, গোদাগাড়ী, তানোর ও ধামইরহাট উপজেলার বিভিন্ন ধর্মের প্রায় শতাধিক ধর্মীয় নেতা ও সমাজসেবক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকল ধর্মের প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বলেন, সকল ধর্মের মানুষকে এক সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু মানুষ সেই সৃষ্টিকে আলাদা করে ফেলেছে। এর ফলে দাঙ্গা ফ্যাসাদ লেগেই আছে। কোন ধর্মেই মানুষকে ছোট করে দেখা হয়নি বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা আরো বলেন, যার যার ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে। কেউ ধর্ম পালনে বাধা প্রদান করতে পারবেনা। আর শিশুদের বিষয়ে সম্পূর্ন ভিন্নমত। কথায় আছে শিশুরা ফেরেস্তা ও দেবতা সমতুল্য। কারন তাদের কোন পাপ নেই। সেই শিশুদের উপরেও চলছে নির্যাতন।
তারা আরো বলেন, শিশুরা অনেক সময়ে নিকট আত্মীয়স্বজন দ্বারাও নির্যাতিত হচ্ছে। শুধু শারীরিক নয়, মানষিক, এমনকি যৌন হয়রানীও হচ্ছে। এখানে শুধু মেয়ে শিশু নয়, ছেলে শিশুরাও এর শিকার হচ্ছে। এজন্য পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুদের সুরক্ষা দিতে হবে। তারা বলেন, শিশু সুরক্ষা আইন রয়েছে। এই আইন যথাযথ ভাবে প্রয়োগ হলে এবং অভিভাবক ও সমাজের সবাই যদি সচেতন হন তাহলে দেশ থেকে শিশু নির্যাতন নির্মূল করা সম্ভব।
বক্তব্য শেষে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পবা, গোদাগাড়ী, তানোর ও ধামইরহাট উপজেলার থেকে আগত ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সমাজসেবকদের সমন্বয়ে আলহাজ্ব ইব্রাহিম খলিলকে সভাপতি ও শরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট শিশু সুরক্ষায় এ্যাডভোকেসী নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়।