মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি শুরু হওয়ায় সুদিন ফিরতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে। দৈনিক ৮০-১০ ট্রাকে (২০০ মেট্রি: টন) আঙ্গুল, আনার, আপেলসহ বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানির শুরু হওয়াতে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে। নানা জটিলতায় ২০২১ সাল থেকে ফল আমদানি শূন্যের কোঠায় থাকলেও সম্প্রতি তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। যার জন্য পদ্মাসেতু বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। এ ছাড়াও বন্দরের ও কাস্টমস কর্মকর্তারা ও ভোমরা বন্দর ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছে।
জানাযায়, করোনার আগে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফল আমদানির ক্ষেত্রে ভোমরা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর ২০২১ সাল থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমতে থাকে। সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, স্কেলে টিআর ওজনে বাড়তি ছাড় না পাওয়া বন্দরের স্কেলে ওজন টেম্পারিং সুবিধা না থাকায় এবং সরকারি রাজস্ব ফাঁকি না দিয়ে শতভাগ আদায় করাতে এবং পার্শ্ববতী বন্দরগুলোতে অনৈতিক সুবিধা পাওয়ায়তে অনেক ব্যবসায়ী অন্য বন্দর ব্যবহারে উৎসাহিত হয়েছিলো।
সম্প্রতি পদ্মাসেতুর উদ্বোধন হওয়ায় ঢাকা থেকে ভোমরা স্থল বন্দরের দুরত্ব দেশের যে কোন বন্দরের তুলনায় কম ও কোলকাতা কাছাকাছি হওয়াতে এ বন্দর ব্যবহারে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।
ভোমরা স্থল বন্দরে সরকারি রাজস্ব বেশি পরিশোধ করা হলেও পরিবহনসহ আনুসাঙ্গিক খরচ কম হবার কারণে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে ভোমরা স্থল বন্দরের দিকে ঝুঁকে পরেছে।
বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে সিরিয়াল জটিলতা ও তীব্র যানজটের কারনে আমদানীকারকরা ভারতীয় ফল ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানির জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
ভোমরা বন্দরের কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, কয়েকদিন একদম কাজ ছিলো না। দিনে হয়তো কোনদিন ২-১টা গাড়ি লোড আনলোড করতে পারতাম কোনদিন মোটেই কাজ হতো না অবসরে সময় পার করেছি পরিবার চালাতে কষ্ট হয়েছে। এখন বন্দর দিয়ে ফল আমদানি শুরু হয়েছে আমাদের আবার কাজ হচ্ছে সামনে ঈদ আমাদের খুব উপকার হবে।
শ্রমিক, সিরাজুল বলেন, বন্দরে পাথর, ভূষি, খৈল,পাউডার, সহ দৈনিক অল্প করে শুকনা মরিচ, আদা, ইত্যাদি ঢুকতো দীর্ঘদিন গাড়ি গুলো বসানো ছিলো আবার ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল প্রবেশ এর ফলে গাড়ি গুলোর ভাড়া হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার মো এনামুল হক জানান, প্রতিদিনই ভোমরা বন্দরে আমদানি বাড়ছে, যা ইতিবাচক। এতে সরকারি রাজস্ব যেমনি বাড়ছে, তেমনি স্থানীয় শ্রমিকদেরও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে।