মুশফিক হাওলাদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় ভোলার লালমোহনে গত কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র দাবদাহ।মানুষকে জীবন-জীবিকার টানে বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেড় হতে হচ্ছে ঘরের বাহিরে। এতে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অসহ্য গরমের ভাব কাটাতে সামান্য প্রশান্তির খোঁজে মানুষ ছুটে চলেছেন ভ্রাম্যমাণ লেবু শরবতের দোকানে। লেবু শরবতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে লেবু শরবতের দোকান। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে এসব দোকানে সকল বয়সের মানুষের ভিড়ও বেড়ছে। লালমোহন উত্তর বাজার বাইতুর রেদওয়ান জামে মসজিদের সামনে লেবু শরবত বিক্রেতা মো. হেলাল উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লেবু, চিনি, লবণ মিশ্রিত লেবু শরবত বিক্রি হচ্ছে নানা রকম দামে। এক টুকরো লেবুর রস,চিনি লবণ, আর বরফের ঠান্ডা পানি মিশ্রিত এক গ্লাস লেবু শরবত বিক্রি হচ্ছে দশ টাকায়।
সরেজমিনে উপজেলা লালমোহন বাজারের চৌরাস্তা, উত্তর বাজার, মধ্য বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ লেবু শরবতের দোকান।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই লেবু শরবত। তৃষ্ণার্ত লোকজনরা শরবত পান করে তাদের প্রাণ জুড়াচ্ছেন।
দিন মজুর মো. সেলিম বলেন, এই গরমে দিন মজুরি কাজ করলে অনেক পিপাসা পায় শরীর অনেক ঘেমে যায়, তাই একটু লেবু শরবত খেতে উত্তর বাজার মসজিদের সামনে শরবতের দোকানে এসেছি, শরবত অনেক ভালো খেলে কলিজাটা ঠান্ডা হয়।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. তাজল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমে লেবুর শরবত শরীরে অন্যরকম আমেজ নিয়ে আসে। এক গ্লাস পান করলেই প্রশান্তি পাই।
ভ্যান চালক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, এই গরমে ভ্যান চালাতে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় তখন এই লেবু শরবত খেতে অনেক ভালো লাগে, শরীরও ভালো থাকে।
লালমোহন উত্তর বাজার বাতুর রেদওয়ান জামে মসজিদের সামনে লেবু শরবত বিক্রেতা মো.হেলাল উদ্দিন বলেন, তীব্র গরমে কয়েকদিন ধরে লেবু শরবতের চাহিদা আগের থেকে একটু বেশি বেড়েছে। আগে আমার সারাদিন বিক্রি হতো আটশো থেকে এক হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।