রাম বসাক,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জঃ হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে …এই প্রতিপাদ্য ধারন করে ,সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র থিয়েটারের ৬বছর পূর্তি উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপি ঐতিহ্য উৎসব করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এই উৎসবের উদ্ধোধন করেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মুদ্রায়ণ বিভাগের পরিচালক সায়েরা হাবিব, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাংগনিক সম্পাদক সাঈদ রিংকু, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক জুরফিকার চঞ্চল, হির্বাহী সদস্য রতন দাস ,নাট্যকার ড. মো. তানভির আহমেদ সিডনি ,সহকারী অধ্যপক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ,মো: হাবিবুর রহমান হাবিব সহকারী অধ্যপক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রহমান রাজু , তন্নী সহ শাহজাদপুর এবং গাইবান্ধার,চারঘাট,রাজশাহী, পাচবিবি জয়পুরহাট, উল্লাপাড়া সহ সারাদেশের প্রায় শতাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন , রবীন্দ্র থিয়েটারের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান মিলন ৷উদ্ধোধনী দিনে লোকসঙ্গীত
পরিবেশন করেন বাউল মোশারফ হোসেন, ধুয়াগান করেন প্রবীণ শিল্পী আব্দুল মতিন লোকনৃত্য পরিবেশন করেন, শাহজাদপুর নৃত্য একাডেমি, সৃজন ললিতকলা নৃত্য একাডেমিএবং মঞ্চকুড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠন জয়পুরহাটের শিল্লীবৃন্দ ,পালানাট্ক কালিন্দীর গীত মঞ্চায়ন করে গাইবান্ধার সারথি থিয়েটার। সমাপনী দিনে গম্ভীরা পরিবেশন করেন পদ্মা বড়াল থিয়েটার চারঘাট রাজশাহী, ভাওয়াইয়া গান করেন রেজোয়ান মন্ডল এবং আয়োজন দল রবীন্দ্র থিয়েটার মঞ্চায়ন করে পালা নাটক নদী কথন।রবীন্দ্র থিয়েটারের পক্ষে অতিথি ও অংশগ্রহণকারী দলগুলোকেঐতিহ্য উৎসব ১৪৩১ সন্মাননা স্মারক প্রধান করে৷ দুইদিন ব্যাপি ঐতিহ্য উৎসবে দর্শক ছিলো মাঠ ভর্তি। এমন আয়োজনে খুশি শাহজাদপুরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।রবীন্দ্র থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান হিমু বলেন রবীন্দ্র থিয়েটার তার জন্মলগ্ন থেকে লোক ঐতিহ্য ও শিকরের সাংস্কৃতিক চর্চা করে আসছে তার ধারবাহিকতায় এই ঐতিহ্য উৎসবের আয়োজন ৷উৎসব সফল করতে দিনরাত অকান্ত পরিশ্রম করে রবীন্দ্র থিয়েটার নাট্যকর্মী আহসান হাবিব ,নুপুর কুমার রায়, মওদুদ আহমেদ, আমিনুর ইসলাম , অপু রায় ,শান্তব্রত, সোলাইমান, তানভির হিমেল সহ অন্যানরা আয়োজক কমিটি অন্যতম সদস্য সাংস্কৃতিক কর্মী বাবুল হাসান জানিয়েছেন দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছিলাম, উৎসবে আমরা দর্শকের ব্যাপক সারা পেয়েছি ভবিষ্যতে আরো বড়
কলেবরে এই ধরনের উৎসব আয়োজন করা হবে। পালা গান আমাদেরমাটির গান যেহেতু আমাদের উৎসবের নামা ঐতিহ্য উৎসব তাই আমরা দুইদিনই পালা নাটক মঞ্চায়নের ব্যবস্থা করেছিলাম। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিডনি স্যার আমাদের আয়োজনে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতা করেছেন তার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।