বিশেষ প্রতিনিধিঃ টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলাকারী সাদপন্থী সন্ত্রাসী খুনিদের ফাঁসি, কাকরাইল মারকাজ ও ইজতেমা ময়দানে তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা, খুনি সন্ত্রাসী সা’দ বাহিনীর সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ভোলার লালমোহনে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় লালমোহন চৌরাস্তার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। লালমোহন উপজেলা ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার পক্ষে জাতীয় ওলামা মাসায়েখ আইম্মা পরিষদ লালমোহন উপজেলার সভাপতি মাওলানা মো. আবুল কাশেম ও হেফাজতে ইসলাম লালমোহন উপজেলার সভাপতি মাওলানা মো. আবদুল আউয়াল স্বাক্ষরিত প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপিটি লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন তারা।
স্মরকলিপিতে যা লেখা ছিলো, তাবলীগ জামাতের সুন্দর সুশৃঙ্খল কাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী সা’দপন্থী এতাতী জামাত দীর্ঘদিন বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের কাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরই মধ্যে ১লা ডিসেম্বর ২০১৮ ইংরেজী ইজতেমার ময়দানে হামলা করে তাবলীগ জামাতের সাথী আলেম ওলামা ও নিরীহ ছাত্রদের মারাত্মক আহত সহ ০১ (এক) জনকে খুন করে। তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে আমরা এর কোন বিচার পাইনি। কিন্তু জুলাই/আগষ্টের বিপ্লবের পরে ছাত্র জনতার অর্জিত স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এতাতি গ্রুপ তথা সা’দপন্থীরা। গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজী দিবাগত রাত ৩.৩০ মিনিটে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তাবলীগের সাথী ও মাদ্রাসাার ছাত্রদের উপর অত্যন্ত নির্মম ও বর্বরচিত ভাবে এরা সন্ত্রাসী হামলা করেছে। এতে আমাদের ০৪ (চার) জন সাথী নিহত ও প্রায় ৫০০ শত জন গুরুতর আহত হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে খুনিদের ফাঁসি ও খুনি সন্ত্রাসী সা’দপন্থীদের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবী জানাচ্ছি।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় লালমোহনের বিভিন্ন আলেম ওলামা ও মাদ্রাসার শিকার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।