পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ উদ্ভাবিত তিন মুখওয়ালা রাইজার ভাল্ব ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা। চাষিরা বলছেন আগে সেচ দেয়ার সময় গভীর নলকুপের পানি সরাসরি এক মুখী রাইজার ভাল্ব দিয়ে সেচ দেয়া হতো। এর ফলে পানি উপচে পড়তো। প্রয়োজন ছাড়াই অন্যান্য খেতে পানি ঢুকে পড়তো। ফলে আবাদ নষ্ট হতো। তিনমুখা রাইজার ভাল্ব ব্যবহার করে একদিকে যেমন পানির অপচয় কমেছে অন্যদিকে প্রয়োজনীয় আবাদে সঠিক ভাবে পানি সেচ দেয়া যায়। তিনমুখা রাইজার ভাল্বে ফিতা পাইপ ব্যবহার করে অনেকদুর সেচ দেয়া যায়। সদর উপজেলার মাগুড়া শিকার পুর এলাকার সবজি চাষি মনির আলম জানান, আগে যেটা দিয়ে সেচ দিতাম তা দিয়ে পানি উপচে পড়ার ফলে অন্যান্য ফশল মরে যেতো। এখন তিনমুখা রাইজিং ভাল্ব ব্যবহার করে সহজে অনেক দুরে সেচ দেয়া যাচ্ছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী কতৃপক্ষ পঞ্চগড় জোনের ইনোভেশন প্রোগ্রামের আওতায় এই যন্ত্র উদ্ভাবন করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান নলকুপের পানি সঠিক ভাবে ব্যবহারের জন্য এটি আমাদের অফিস থেকেই উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রায় শতাধিক কৃষক তিন মুখা রাইজার ভাল্ব ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন । দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।
এদিকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ পরিচালিত পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত সকল সেচ যন্ত্রের খন্ডকালীন অপারেটর অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই অপারেটররাই তিন মুখা রাইজার ভাল্ব পরিচালনা করছেন।