আসাদুজ্জামান খান লিপন,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে ও আইনী প্রতিকারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো: মাহমুদুল হাসান কামাল। শনিবার ১৮ জানুয়ারি দুপুর ১২ টা কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো: মাহমুদুল হাসান কামাল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি আপনাদের মাধ্যমে লিখনির মাধ্যমে আমাকে হত্যার চেষ্টা ও আইনী প্রতিকারের দাবি জানাচ্ছি।তিনি বলেন,
১। মোঃ আঃ হান্নান মিয়া (৪৫), পিতামৃত- আঃ রহমান, সাং- অগ্রেরকোণা।
২। মোঃ তাজুল ইসলাম (৩৮), পিতামৃত- আঃ রহিম, সাং- মশুয়া
৩। ছিদ্দিক মিয়া (৩৬), পিতামৃত- রাজ মান্নান, সাং- অগ্রেরকোণা।
৪। মোবারক হোসেন (৩২), পিতা- সঞ্জু মিয়া, সাং-উত্তর অষ্টগরিয়া
৫। সোলেমান (৩৩), পিতামৃত- আঃ রশিদ, সাং- উত্তর অষ্টগরিয়া
৬। কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬), পিতামৃত- দুলাল মিয়া, সাং- পশ্চিম অষ্টগরিয়া
সর্বথানা- কটিয়াদী, জেলা- কিশোরগঞ্জ।
উপরোক্ত অভিযুক্তরা খুবই খারাপ, সন্ত্রাসী, চাদাবাজ ও দাঙ্গা প্রকৃতির লোক। আমার বসতবাড়ির দক্ষিন পাশের্ব নিজস্ব জমিতে পুকুর খনন করিয়া বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ চাষ করিয়া দীর্ঘদিন যাবত ফিসারী ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। অভিযুক্তরা আমার নিকট বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের চাদা দাবি করিয়া আসিতেছে। আমি অভিযুক্তদের চাঁদার টাকা না দেওয়ার রাস্তা ঘাটে আমাকে একা পাইয়া বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। আমি নিরীহ প্রকৃতির বিধায় তাদের কার্যকলাপের প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। গত ১৪/০১/২০২৫ইং তারিখ সকাল অনুমান ৮ টা ৩০ ঘটিকার সময় প্রয়োজনীয় কাজে আমি মশুয়া বাজারে জনৈক তাজুল ইসলামের দোকানের সামনে গেলে অভিযুক্তরা আমার নিকট ২ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে। চাদা না দিলে আমাকে ফিসারী ব্যবসা করিতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। আমি তাদের দাবীকৃত চাদার টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করিলে সকল অভিযুক্তরা আমাকে ঘেরাও করিয়া এলোপাথারী মারপিট শুরু করে। তাদের মারপিটের কারনে আমি মাটিতে পরিয়া গেলে অভিযুক্ত মোঃ আঃ হান্নান মিয়ার হুকুমে অভিযুক্ত মোঃ ছিদ্দিক মিয়া তার হাতে থাকা ধাড়ালো রামদা দিয়া আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে কুপ মারিলে আমি সরিয়া পরায় উক্ত কুপ আমার ডান পায়ের উরুতে লাগিয়া মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম হই। ঐ সময় আমার কোমড়ের লুঙ্গির কুচে থাকা ব্যবসায়িক নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মাটিতে পরিয়া গেলে অভিযুক্ত মোঃ আঃ হান্নান মিয়া নিয়া যায়। পরে সকল অভিযুক্তরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি মারতে থাকে। আমার ডাক চিৎকারে স্বাক্ষীরা আগাইয়া আসিলে অভিযুক্তরা আমাকে এ বিষয়ে বারাবারি না করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এরপর স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিশোরগঞ্জে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকিয়া আমার স্ত্রী কর্তৃক কটিয়াদী থানায় লিখিত অভিযোগ পাঠালে আসামী পরিবর্তন করে অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এমতাবস্থায় আমি আপনাদের মাধ্যমে ন্যায় বিচার ও আইনী প্রতিকার দাবী করছি।