

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ মোঃ মিজানুর রহমান রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে বিভিন্ন ফসলি জমি থেকে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এর প্রভাব পড়েছে সরাসরি চলতি বছরে বোর ধানের উপরে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বোর ধানের চাষ হয়েছে ছয় হাজার আট শত সাতানব্বই হাজার হেক্টর জমিতে এছাড়াও রোপণ এখনো চলমান রয়েছে । গত বছরে এই উপজেলায় ধানের আবাদ হয়েছিল সাত হাজার পাঁচশত আটানব্বই হাজার হেক্টর জমিতে। গতবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত চলতি বছরে সাতশত এক হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ কম হয়েছে। উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় কৃষি আবাদি জমি ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগই আবাদি জমিতে এখনো অথৈ পানি। এজন্য অনেক কৃষকরা এ বছরের বোর ধান চাষ থেকে বিরত আছেন। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা পড়েছে চরম বিপদে। জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের একাধিক কৃষক বলেন, এবার অতিরিক্ত মাত্রায় বৃষ্টির কারণে আমাদের জমি থেকে এখন পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন না হয় আমরা এই মুহূর্তে বোর ধান চাষ থেকে বিরত রয়েছে। আমার মত হয়তো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ও জলবদ্ধতার কারণে অনেক কৃষকরা ধানের চাষ করতে পারেনি। পুঠিয়া পৌরসভার সদর এলাকার সিরাজুল ইসলাম জানান, এই বিলটি ভাটার বিল নামে পরিচিত ইতিপূর্বে আমাদের এই মাঠে তিন ফসলি আবাদে মাঠ ভরে থাকতো। এবার অতিরিক্ত মাত্রায় বৃষ্টির কারণে আমাদের ফসলে জমি গুলো তলিয়ে গেছে। সরকারিভাবে বিলের পানি নামার যে ড্রেনগুলো ছিলো বর্তমানে তা দখল হয়ে যাওয়ার কারণে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি। বর্তমানে যে অবস্থা ধানের আবাদ তো আমাদের এবার হলোই না সামনে পিয়াজ রসুনের এর আবাদ মনে হয় করা সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী বলেন, উপজেলা বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে যেমন ধান রোপণ বন্ধ আছে। আবার অনেক স্থানে রূপনকৃত ধান পানি নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো সতেজ ও উজ্জীবিত হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় পানি নেমে যাবার পরে কৃষকরা আবার ধান রোপন শুরু করেছে।