

ভোলা সদর উপজেলার নাছির মাঝি এলাকায় অবস্থিত” হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগার” এখন নতুন সাজে সেজে উঠেছে। নতুন ভবনে অসংখ্য বইয়ের সমাহার নিয়ে পাঠাগারটি যেন জ্ঞানের এক আলোকশিখা হয়ে উঠেছে। বইয়ের গন্ধ, পাঠকের কৌতূহল আর জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ একত্রে মিলিত হয়ে এখানে তৈরি করছে এক অনন্য পরিবেশ। পাঠাগারের ইতিহাস ও প্রেরণা পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল— সমাজসেবক, মেধাবী ছাত্র ও প্রিয় মুখ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুন অর রশিদ-এর স্মৃতিকে ধারণ করে। তাঁর স্বপ্ন ছিল আলোকিত সমাজ গঠন, আর সেই স্বপ্নের প্রতিফলন আজ এই পাঠাগারে ফুটে উঠছে। নতুন রূপে পাঠাগার—– বর্তমানে নতুন ভবনে স্থানান্তরের ফলে পাঠাগারটি আরো সুসংগঠিত ও আধুনিক হয়েছে। বুকশেলফে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের বই—সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, জীবনী, উপন্যাস, ছড়া-কবিতা, গল্পগ্রন্থসহ নানা রকমের সমৃদ্ধ সংগ্রহ। পাঠকদের জন্য এখানে রয়েছে আরামদায়ক পাঠকক্ষ ও মনোরম পরিবেশ। সমৃদ্ধির পথে আহ্বান— শুধু স্থানীয় পাঠক নয়, দেশবরেণ্য লেখক-কবি ও সাহিত্যিকদের রচনায় পাঠাগারকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য রয়েছে। তাই পাঠাগার কর্তৃপক্ষ কবি, সাহিত্যিক, লেখক বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ও পরিচিতজনের সহযোগিতা কামনা করছে। তাঁদের দানকৃত গ্রন্থ বা সমর্থন পাঠাগারের সংগ্রহকে যেমন সমৃদ্ধ করবে, তেমনি পাঠকসমাজও লাভবান হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা— স্থানীয় কবি সাহিত্যিক এবং তরুণদের নিয়ে নিয়মিত সাহিত্য সভা ও পাঠচক্র আয়োজন। কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা ও বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীল লেখালেখির কর্মশালা। পাঠাগারকে ডিজিটাল আকারে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ। উপসংহার—- একটি পাঠাগার শুধু বইয়ের ভাণ্ডার নয়, এটি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের জ্ঞান ও সংস্কৃতি বহনের সেতুবন্ধন। হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগার সেই সেতুবন্ধন হয়ে উঠুক—এটাই সবার প্রত্যাশা। তাই সমাজের সব স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ও সহযােগিতার মধ্য দিয়ে পাঠাগারটি আগামী দিনে ভোলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে—এমনটাই আশা করা যায়। # সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন কবি, সাহিত্যিক, প্রফেসর