মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলায় কয়েকদিন ধরে কুয়াশায় জেকে বসেছে শীত। তীব্রতাও অনেক বেশি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার কারণে গত ৫/৭ দিন থেকে ঠিকমত সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর ২/১ দিন সূর্য উঠলেও বেশিক্ষণ তীব্রতা থাকছে না। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ জন সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও হাকাচ্ছেন বেশি বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার পৌর শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠের সামনের হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ, শিশুরা ভীড় জমিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনছেন সেখানে। কাপড় কিনতে আসা পৌর শহরের হাজীপাড়া মহল্লার সুমি আক্তার জানান, এখানে বাচ্চার জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে তিনি এখানে কাপড় কিনছেন। ভাল মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। প্রায় প্রত্যেকদিন সকাল থেকে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে। এ কয়েকদিনের প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন রাত ৮ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারনের জন্য গরম কাপর কিনতে শীতের পুরোনো কারপরের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন অনেকেই। শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয বড় মাঠের পার্শ্বের মার্কেট ও ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় সবচেয়ে বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। তবে সন্ধার পর রোড যুব সংসদ হকার্স মার্কেটে ভীড় জমতে দেখা যায় বেশি। সেখানে বিভিন্ন বয়সীদের জন্য নানা ধরনের কাপড় বিক্রি হতে দেখা যায়। শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরেছেন তারা। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার পর্যন্ত জেলায় সর্বোাচ্চ ২৮ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঠাকুরগাঁও
জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ কয়েকটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বালিয়ায় করিমা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৬শতাধিক, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ছোট বেগুনবাড়ীতে এভারগ্রিন ৮৯/৯১ ব্যাচের পক্ষ থেকে শতাধিক শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ