
পঞ্চগড়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে ভূক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে আটোয়ারী প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিনা আক্তার । এসময় তার বাবা ফজলুর রহমান ও তারা মা সাজেদা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নলপুখুরী গ্রামের ১০ শতক জমির উপর আমার বাবা ও মা বসবাস করে। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে আমরা পরিবারের সবাই এই বাড়িতে বসবাস করছি। চাকুরী সূত্রে আমরা ভাই বোন বাইরে থাকি। অনেক কষ্ট করে বাবার আয় এবং ভাইবোনদের আয় করা টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করার জন্য ইট কিনে নিয়ে আসি। এবং বাড়ির কাজ শুরু করি। গত ৪ এপ্রিল দুপুরে আমাদের বাড়িতে আমাদের চাচা এবং চাচাত ভাই বোনেরা অতর্কিত হামলা করে। এসময় তারা নগদ টাকা সহ প্রায় ৮ লাখ ২০ টাকা সমমুল্যের জিনিষপত্র লুটপাট করে। তারা অশালীন ভাষায় গালিগালাজও করে। তিনি বলেন আমার চাচাত ভাই চট্টগ্রাম প্রৌকশল ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী মকবুল হোসেন এ বিষয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে আটোয়ারী উপজেলা শহরে ভারা বাড়িতে থাকি। আমাদেরকে বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না। দেখলেই পা ভেঙে দেয়া সহ নানা হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অথচ আমরা ৬০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছি। পুলিশ আমাদের কোন মামলা, অভিযোগ কোনটাই নিচ্ছে না। আমরা আমাদের বাসায় যেতে চাই। নিরাপত্তা চাই পুলিশের কাছে। আমাদের মারধর করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম প্রৌকশল ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী মকবুল হোসেন জানান, রোজীনা আক্তারের সকল অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার শালিস হয়েছে। এলাকাবাসী এবং আটোয়ারী উপজেলার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সব জানে। আমার চাচার আড়াই শতক জমি সেখানে আছে। তারপরও শালিসি বিচারকরা আমাদেরকে আরও আড়াই শতক জমি তাকে দান করতে বলে । আমরা রাজী হই । এখানে লুটপাট বা ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। গ্রামবাসীকে জিজ্ঞেস করলেই সব জানতে পারবেন। তিনি আরও বলেন রোজীনা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এসব দিক বিবেচনা করে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। সংবাদ সম্মেলনে ওই পরিবারের সদস্যরা সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।