

ভোলা জেলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে কুঞ্জের হাট বাজারে হাসনাইন নামে এক ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারণার অভিযোগে মা ও ছেলের নামে কোর্টে মামলার প্রেক্ষিতে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে,ওয়ারেন্ট ইস্যুর পরপরই আজ রবিনের মা পারবিন আক্তার নামে ১জনকে আটক করে ভোলা কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী মোঃ হাসনাইন সাংবাদিকদের বলেন,ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নাম ব্যবহার করে এবং দলের পরিচয় দিয়ে আহসান হাবিব রবিন ও তার মা পারভিন বেগম,আমাদের কাছ থেকে এ বছরের ৮ মে একটি ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে ১ মাসের জন্য ৭ লাখ টাকা ধার নেন,পরবর্তীতে আমি এক মাস পরে টাকা চাইলে তারা আমাকে টাকা দিতে অস্বীকার করে, আমি জানতে পারি ভোলা ২ আসনের সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিমের সাথে তার ভালো সম্পর্ক এবং সে রাজনীতির সাথে জড়িত এমন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছে টাকা নিয়েছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তার সাথে এমপি মহোদয়ের কোন সম্পর্ক নেই,বিষয়টি জানতে পেরেই বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট তার বাসায় আমি গেলে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করেন আমি বাধ্য হয়ে ১২ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ভোলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি
যার নম্বর সি,আর ৩৭৯/২০২৫(বোরঃ)। বিচারক তদন্ত শেষে রবিন ও তার মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। হাসনাইন আরো জানান,কয়েক মাস পূর্বে বোরহানগঞ্জ বাজারের এনকে জুয়েলার্স-এর মালিক নয়ন বৈদ্যের দোকানে এসে রবিন তার বোনের বিয়ের জন্য গহনা কেনার কথা বলে। সরল বিশ্বাসে নয়ন তাকে প্রায় ৩ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার দেন। কিন্তু রবিন সেই গহনা নিয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকেই সে গা ঢাকা দেয়। নয়ন বৈদ্য এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজসহ সব প্রমাণ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খান বলেন,আহসান হাবিব (রবিন) বিএনপির কেউ নন,আমরা তাকে চিনি না,
এই প্রতারককে আইনের আওতায় আনা হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা ২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম বলেন,আহসান হাবিব রবীন নামে যার কথা আপনারা বলেছেন,তাকে গরিব-অসহায় বিবেচনা করে কয়েক বছর পূর্বে আমি আমার একটি লঞ্চে চাকরির ব্যবস্থা করে দেই,পরবর্তীতে তার প্রতারণা,দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে তাকে আমরা চাকরি থেকে অব্যাহত দেই,তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই,এমনকি বিএনপির রাজনীতির সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই,এক কথায় সে প্রতারক,তাকে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য বলেন,দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যদি প্রতারণা করে তাকে সর্বস্ব শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক,কারণ আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি,আমি বেঁচে থাকতে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে কোন অন্যায়,অনিয়ম চলতে দেব না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন,ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারণার অভিযোগে পারবিন(৪৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে,রবিন নামে আরেকজন পলাতক রয়েছে তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।