ঘোড়াঘাটে ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ কেবল কাগজে-কলমে, পালশা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র বলছে বাস্তবতা


ফাহিম হোসেন রিজু ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ২নং পালশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এক সময় ছিল স্থানীয় জনগণের জন্য সেবা ও গর্ভবতী মা ও শিশুদের চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ন কেন্দ্র। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই কেন্দ্রটি এখন মাদক সেবীদের জন্য পরিণত হয়েছে যেন এক স্বর্গরাজ্য। এখন সেখানে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিল সেবন ও বেচাকেনা চলছে নির্ভয়ে। নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের। সন্ধ্যা নামতেই উপজেলার পালশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রূপ নেয় এক ‘মাদক হাব’-এ। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেন্দ্রের আশপাশে চলে মাদকসেবীদের আসর। কেউ খোলা জায়গায় বসে সেবন করছে, কেউ কেন্দ্রের রুমের ভিতরে বা আশেপাশের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে বিক্রি করছে। স্থানীয়রা জানান, এখানে নিয়মিত মাদক সেবীরা জমায়েত হয় এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরাতন রুমের ভিতরে ও আশেপাশে মাদক বিক্রি ও সেবনের আস্তানা হিসেবে পরিণত হয়েছে বলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিরাপত্তা এবং তদারকির অভাবে এই সমস্যা ক্রমেই গম্ভীর রূপ ধারণ করছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে মাদক সেবীরা নানান ধরনের নাশকতা চালায় এবং স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তারা আরো বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশেপাশে মাদক সেবন ও বিক্রির ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা ও রাতের সময় মাদকাসক্তরা এখানে জড়ো হয়ে নানা অপকর্ম করছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপ্রতুল থাকায় এসব কর্মকাণ্ড রোধে অক্ষম কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পালশা ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, “স্বাস্থ্য কেন্দ্র তো হওয়া উচিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জায়গা, কিন্তু এখানে মাদকসেবীরা এসে ঘাঁটি গেড়েছে, যা পুরো এলাকাবাসীর জন্য খুবই উদ্বেগজনক।” এলাকাবাসী আশা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যাতে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা সঠিকভাবে চালু রাখা যায়।