মোঃ কামাল হোসেন খাঁন,মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ধাপে ধাপে কমছে শীতকালীন সবজির মূল্য।
গত ৩ সপ্তাহ পূর্ব থেকে শীতের মাত্রা বাড়লেও বেশ গরম ছিল সবজির বাজার। গত এক সপ্তাহ ধরে ঘণ কুয়াশার মাঝেও সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম অনেকটা কমে এসেছে।
মৌসুমের শুরুতে সরবরাহ কম থাকায় মেহেরপুর বড়বাজারের তহবাজার, গাংনী, বামুন্দী, ভাটপাড়া, সাহারবাটী, মাইলমারী, হেমায়েতপুর, ধানখোলা, বাওট, মহাম্মদপুর, গাঁড়াডোব, কাজীপুর, কেদারগঞ্জ, তেঁতুলবাড়ীয়া, বারাদী, সোনাপুর, পিরোজপুর, আমঝুপি, ধানখোলা, কসবা, খাটপাড়া, জালশুখা গাঁড়াডোবসহ গ্রামাঞ্চলের সকল ধরনের হাট বাজারগুলোতে লক্ষ করা যায় বেগুন, মুলা, শিম, টমেটো, গাজর, শসা, মান কচু, ওলসহ সকল ধরনের সবজির মূল্য বেশ চওড়া থাকায় বাজার থেকে খালি হাতে বাসায় ফিরেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে বর্তমান সবজি বাজার মূল্যে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন ক্রেতাদের অনেকেই।
বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজির আমদানি হওয়ায় এ মূল্য আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে সবজির মূল্য আলু ২০-৩০ টাকা প্রতি কেজি, পিঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, কাচা মরিচ ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, মান কচু ৪০ টাকা, মাটির নিচের আলু (আলতাপাটি) ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ২০-৫০ টাকা, ওলকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, পাতাকপি ২০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কলা ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ওল ৫০-৬০ টাকা, স্কোয়াশ ৫০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, পুঁইশাকের মুচড়ি ৬০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, পালং শাকের আঁটি ১০ টাকা, বইতু শাকের আঁটি ১০ টাকা, ছোলা শাকের কেজি ৫০ টাকা, ধনেপাতার আঁটি ১০ টাকা, পিঁয়াজের কলি ১০-২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা ও লেবু প্রতি ৪ পিস ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যার মূল্য গত কয়েকদিন পূর্বে প্রতি কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেশি ছিল। এখন বাজারে সকল ধরনের শীতকালীন সবজির মূল্য কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রেতাদের সংখ্যা। ব্যাগ ভর্তি করে ইচ্ছে মতো সবজি ক্রয় করে ফিরছেন বাসায়। তবে মাছ, মাংস ও ডিমের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে বাজার মূল্য ও কৃষকের প্রাপ্য মূল্যে বিশাল ফারাক রয়েছে বলে দাবী কৃষকদের। তিনারা জানান, শীতের শুরুতে সবজির মূল্য আশানুরূপ পেলেও শীত বাড়ার সাথে সবজির মূল্য কমে যাচ্ছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা সবজি উৎপাদনকারীর কাছ থেকে কম মূল্যে ক্রয় করে তা বাজারে অধিক মুনাফাতে বিক্রি করছেন। এতে করে সবজি উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দু’জনেই বিপাকে, সুবিধা নিচ্ছে মধ্যস্থ খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতা।