মোঃ ওসমান গনি ইলি,কক্সবাজারঃ কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো এবং প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার প্রচারণা শেষ করেছেন বলে জানান জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি মনে করেন ভোটের দিন ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এ পরিবেশ বজায় থাকবে।
শনিবার (১০ জুন) বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসার জাতীয় দৈনিক আলোচিত কন্ঠ কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন৷ভোট হতে আর মাত্র একদিন। ভোটের শেষ প্রচার গতকাল শনিবার শেষ হল। সোমবার এ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোট হবে।পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে শুরুর দিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সতর্ক করা এবং নারকেল গাছ প্রার্থী ও নৌকা প্রার্থীকে নির্দিষ্ট সিঠি প্রেরনের মধ্য দিয়ে তা সামলে নিয়েছে। পরবর্তীতে প্রচারণা নিয়ে বড় ধরনের অভিযোগ না থাকলেও এরইমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ ও ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থী সাহাব উদ্দীন সিকদারের প্রচারে বাধা ও গ্রেফতারের কথা উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ও সুষ্ঠুভাবে প্রচার শেষ হল। গতকাল আমি নিজেই গিয়েছি পৌরসভার প্রায় ওয়ার্ডে। এর আগেও গিয়েছি।…অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রচার শেষ হল। তারপরও আমাদের দেশে সংস্কৃতি যেটা দ্বিতীয় পক্ষ মুখোমুখি হয়ে যায়। এ পক্ষও স্লোগান দেয়, সেপক্ষও স্লোগান দেয় স্বাভাবিকভাবেই। তখন পুলিশ থাকে মাঝে। পুলিশ সুন্দরভাবে ভূমিকা পালন করছে।”
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এ পৌরসভা নির্বাচনে ১২টি ওয়ার্ডে ১২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিজিবি, র্যাব পুলিশ থাকবে, তিনজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার তো কোনো কারণ নেই। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যাক। তারপর যদি কেউ বাধা দেয় তখন বলুক, আমাদের কাছে পাঠাক যে ওমুকে বাধা দিচ্ছে। দেখেন তখন কী হয়। কঠিন অ্যাকশন হবে৷ কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের মিটিংয়ে স্ট্রেইট বলা হয়েছে-কোনো ভোটারকে, কোনো এজেন্টকে কোনো রকম বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো নির্বাচন, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরায় ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে বলেও জানান তিনি।প্রত্যেকটা বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। নির্বাচন অফিস থেকে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনে যেভাবে অ্যাকশন নেওয়ার কথা সেভাবেই নেওয়া হবে। কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।