বিপ্লব তালুকদার :নাটোর নাটোরের সিংড়ার আয়েশ বছিরুল আলিম মাদ্রাসার অক্ষ্যক্ষ মাওলানা মোঃ শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য,অর্থ আত্বসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বর্তমান নবগঠিত কমিটি বাতিলের লক্ষ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে কমিটি পুর্নঃবহালের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ স্থানীয় জনসাধারণ। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের আয়েশ বাজারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আয়েশ বছিরুল আলিম মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য মোঃ বকুল শেখ, শাহা আলম ফকির, শেখ বাহা উদ্দিন, আলা উদ্দিন আকন্দ, রেজাউল করিম, আয়েশ শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের সভাপতি ও ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন, ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জুলহাজ কায়েম, ডাহিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ শামীম রেজা, বিয়াশ গ্রামের শফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আকবর হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহা আলম প্রমূখসহ আরও অনেকেই । বক্তারা বলেন, আয়েশ বছিরুল আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ শামসুল ইসলাম গত ২০০৬ সাল থেকে একক ক্ষমতা বলে নিজের পছন্দ মত কমিটি গঠন করে নিয়োগ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক একটি কমিটি অনুমোদন হয় এবং সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ডাহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম। কিন্তু কমিটির সভাপতি নিজের পছন্দ মত না হওয়ায় অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম ওই কমিটিকে বাতিল করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুনকে বাদী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যা সম্পর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পরিশেষে বক্তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বর্তমান কমিটি পুর্নঃবহাল করা না হলে অধ্যক্ষকে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। বক্তব্য শেষে ” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম কেন? চলবে না চলবে না” চাকুরীর নামে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করো করতে হবে ” বিভিন্ন শ্লোগানে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ শামসুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, শিক্ষা বোর্ড থেকে যে কমিটি অনুমোদন হয়েছে তা বৈধ নয়। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বর্তমান কমিটির বিষয়ে আমাকে কিছু বলে নাই। আমরা নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে একটি কমিটি গঠন করে প্রতিমন্ত্রীর সাথে দেখা করবো। এ বিষয়ে আলিম মাদ্রাসার উপধ্যক্ষ মোঃ সুলতান মাহমুদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গ্রামবাসীর আন্দোলনের মুখে গত ১ অক্টোবর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রী বন্ধ থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমরা গ্রামবাসীর সাথে আছি। আমরা চাই দ্রুত এর একটা সমাধান। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আজকেই জানলাম। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।