জাতীয়

এনএসউ ট্রাস্টি আজিম উদ্দিন আহমেদের জানাজা অনুষ্ঠিত

আবদুর রহমান: নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসউ) প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ-এর জানাজার নামাজ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৪ আগষ্ট) দুপুরে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোঃ শাহজাহান, এম এ কাশেম, বেনজির আহমেদ, তানভীর হারুন ও ইয়াসমিন কামাল। আরো উপস্থিত ছিলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আব্দুল হান্নান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান, ড. মো. সবুর খান এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোঃ শাহজাহান তার বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা শোকাহত হৃদয়ে আমাদের একজন সহকর্মী নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টি ও বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, মিউচুয়াল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান—জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ-কে বিদায় জানাতে একত্রিত হয়েছি। তিনি ছিলেন একজন চিন্তাশীল মানুষ। শুধু একজন ট্রাস্টি হিসেবেই নয়, বরং একজন অভিভাবক, বন্ধু এবং আলোকবর্তিকা হিসেবে তিনি আমাদের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আল্লাহ্ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করেন—এই প্রার্থনা করছি। একই সঙ্গে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব আজিম উদ্দিন আহমেদের জন্ম ১৯৪০ সালের ৩০ জুন ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার বাতানিয়া গ্রামের মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি রোটারি ক্লাব অব ঢাকা নর্থের সাবেক সভাপতি, রোটারির এরিয়া গভর্নর, গুলশান ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বারিধারা সোসাইটির দীর্ঘদিনের সভাপতি। তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ ইন্ডেন্টিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। আজিম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের ব্যবসা, শিক্ষা ও সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনায় ও অগ্রযাত্রায় তার ভূমিকা ছিল অসামান্য। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও শিক্ষানুরাগী মনোভাব নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও সমাজের জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

0 Shares

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *